হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমবে কিসে? প্রতীকী ছবি।
ভিগানিজ়ম একটি জীবনধারা। শুধু খাদ্য নয়, প্রাণী ও প্রাণিদেহের দ্বারা তৈরি সব খাবারই বর্জন করা হয় এই রীতিতে। এক কথায়, নিরামিষাশীরা যখন প্রাণিজাত সমস্ত খাবার বর্জন করেন, তখন তাঁদের ভিগান বলে। মাছ-মাংস তো নয়ই, ভিগানরা ডিম, দুধ আর দুধের তৈরি কোনও খাবারও খান না। যেমন ছানা, দই, পনির, সন্দেশ, রসগোল্লা, এ সব থেকেই শতহস্ত দূরে থাকেন তাঁরা। দুধের ঘাটতি মেটানোর জন্য তাঁরা সয়া দুধ, আমন্ড দুধ, ওট্স দুধের উপরেই ভরসা রাখেন ভেগানরা! তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ভেগানরা সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ পেতে পারে কাজু দুধ থেকে। সকলে দুধ সহ্য করতে পারেন না। বিশেষ করে যাঁরা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট, তাঁদের পক্ষে দুধ খাওয়া বেশ অসুবিধাজনক। তাঁরাও কিন্তু কাজু দুধের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
ডায়েটে কাজু দুধ রাখলে কী কী উপকার পেতে পারেন?
১) ওজন কমায়: অনেকেরই ধারণা, কাজুবাদাম বেশি মাত্রায় খেলে ওজন বাড়ে। কারণ কাজুতে রয়েছে বেশ কিছুটা ‘ফ্যাট’ বা স্নেহপদার্থ। এটি ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আদৌ কি কাজুবাদাম ওজন বাড়ায়? চিকিৎসকরা অবশ্য উল্টোটাই বলছেন। কাজুতে ফ্যাট থাকলেও, তাকে বলা হয় ‘গুড ফ্যাট’। মানে, যে জাতীয় স্নেহপদার্থ ওজন বৃদ্ধি করে না। ডায়েটে কাজু দুধ রাখলে বিপাকহার বাড়বে, ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল: কাজুতে থাকা বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেটিনার উপকার করে। এতে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়। রেটিনার নানা ধরনের সমস্যার পরিমাণ কমে। বয়সজনিত কারণে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে, ডায়েটে কাজু দুধ রাখলে সেই ঝুঁকিও কমবে।
৩) হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত কাজুবাদাম খান, তাঁদের হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে। কাজুর নানা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কাজু সাহায্য করে। তাই হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পুষ্টিবিদরা ডায়েটে কাজু দুধ রাখার কথা বলছেন।
৪) ত্বকের জেল্লা বাড়ে: ডায়েটে কাজু দুধ রাখলে ত্বকের জেল্লাও বাড়ে। ত্বক উজ্জ্বল এবং নমনীয় হয়। শুধু তাই নয়, দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত কাজুবাদাম খান, তাঁদের ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।
৫) শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাজু দুধে ভরপুর মাত্রায় জিঙ্ক থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়াও, এর উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান উপাদান অনিদ্রার সমস্যা দূর করে, মেজাজ ভাল রাখে।