Ankylosing spondylitis

Ankylosing Spondylitis: ৫ টোটকা: জব্দ হবে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথা

ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সূচ ফোটানোর মতো তীব্র যন্ত্রণাও স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণ। এই অসুখে আক্রান্ত হলে অনেকের আবার মাথাও ঘোরে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ১০:৩৫
ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাসও।

ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাসও। ছবি: সংগৃহীত

কখনও পেশার তাগিদ, আবার কখনও বা নিজের স্বভাবদোষেই শিরদাঁড়ার হাড় ক্ষয়ের জানান দেয় অকালেই। অফিস ডেস্কে বসে কম্পিউটারের সামনে কাজ করতে করতে টনটন করে উঠছে পিঠ, কাঁধ? কিংবা বাড়িতে একটানা টিভি দেখতে গিয়ে বা ঘুম থেকে উঠে ঘাড় ঘোরাতে গেলেই হচ্ছে তীব্র যন্ত্রণা? এই সব লক্ষণেই বুঝতে হবে শরীরে বাসা বেঁধেছে স্পন্ডিলাইটিস।
তবে সময় মতো চিকিৎসা করালে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মেনে চলতে হয় কিছু ব্যায়াম ও নিয়ম। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা কাঁধ থেকে পিঠ, কোমর এমনকি হাত অবধি ছড়িয়ে যায়। স্পাইনাল কর্ডের উপরেও চাপ ফেলে এই অসুখ।
কেবল ঘাড়ে ব্যথাই নয়, ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সূচ ফোটানোর মতো তীব্র যন্ত্রণাও এই অসুখের লক্ষণ। এই অসুখে আক্রান্ত হলে অনেকের আবার মাথাও ঘোরে। তবে ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাসও। কী করলে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় মিলবে আরাম?
১) এই অসুখে ভুগলে সবার আগে আপনাকে রোজ ব্যায়াম করতে হবে। শরীরচর্চা করলেই এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং। মাংসপেশিকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যায়াম করুন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বেল্ট, কলার বা বিশেষ ট্রাকশন নেওয়ার ব্যায়াম দেওয়া হয়। যোগাসন করেও এই রোগ দূর করা সম্ভব।
২) ঘাড় বা পিঠ বেঁকিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বসার অভ্যাস বদলাতেই হবে। পেশার তাগিদে তেমন ভাবে বসতে হলে মাঝে মাঝেই উঠে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। খানিক ক্ষণ ঘাড়ের ব্যায়াম করে নিতে পারেন। চোখ ও কম্পিউটারের স্ক্রিন যেন সোজাসুজি থাকে সেই ব্যবস্থা করুন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

৩) এই রোগের ক্ষেত্রে আপনি কী ভাবে ঘুমোচ্ছেন সেটাও কিন্তু ভীষণ জরুরি। উপুড় হয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হতে হবে। অনেকেই স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যায় বালিশ ছাড়া ঘুমোন। কখনওই বালিশ ছাড়া ঘুমোবেন না। নরম দেখে একটা বালিশ নিন, দেখবেন বালিশ যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে উঠুন। সোজা উঠলে মেরুদণ্ডের উপর আরও চাপ পড়তে পারে।

৪) নিয়মিত গরম জলে স্নান করার অভ্যাস করুন। এতে ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যথার জায়গায় একবার গরম জলের শেঁক দিন সঙ্গে সঙ্গেই আবার ঠান্ডা জলের শেঁক দিন। এই পদ্ধতিতেও ব্যথায় উপশম মেলে।

৫) ব্যথা তীব্রতা যদি অনেক বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে আকুপানচার পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ব্যথা উপশমে এই পদ্ধিতি আদতে অব্যর্থ দাওয়াই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement