নুন-জল খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
গলা খুসখুস কিংবা গলাব্যথা হলে নুন-জলে গার্গল করেন। সেই নুন-জল যে সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়, তা হয়তো অনেকেই জানতেন না। খনিজের ঘাটতি পূরণ থেকে হজমের গন্ডগোল— নুন-জলের গুণে সবই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে যেমন-তেমন নুন খেলে হবে না। একেবারে অপরিশোধিত নুন যেমন সৈন্ধব বা সামুদ্রিক নুন কিংবা ‘গোলাপি’ নুন খেলে তবেই উপকার মিলবে। সকালে ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। সেই জলে এক চিমটে নুন মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার গ্রিন টি বা দুধ-চিনি ছাড়া চায়েও নুন মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
দিনের শুরুতে নুন-জল খেলে কী উপকার মিলবে?
১) ইলেকট্রলাইটের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে নুন-জল। নুনের মধ্যে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি। এ ছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম এবং ক্লোরাইড। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই খনিজগুলির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। স্নায়ু এবং পেশি সচল রাখতেও এই পানীয় খাওয়া যায়।
২) নুনের মধ্যে নানা রকম খনিজ রয়েছে। এই খনিজগুলি ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের পিএইচের সমতা রক্ষা করে। এগজ়িমা, সোরিয়োসিসের মতো ত্বকের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই পানীয়।
৩) হজমে সহায়ক উৎসেচক এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণে সাহায্য করে নুন-জল। পরিপাকতন্ত্র ভাল রাখার একটি উপায় হতে পারে এই পানীয়। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে।
৪) গলাব্যথা কিংবা কাশি হলে অনেকেই নুন-জলে গার্গল করেন। শ্বাসযন্ত্র, শ্বাসনালিতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ রুখে দিতে পারে এই পানীয়।
৫) নুন-জল খেলে মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে ‘ডিটক্স’ পানীয় হিসাবে নুন-জল খাওয়াই যায়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, নুন-জল খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করা চলা জরুরি। নুন-জল খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে শুরুতেই অনেকটা পরিমাণ নুন না খাওয়াই ভাল। এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে নুন মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন শারীরিক কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। তার পর পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নুনের পরিমাণ বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে কারও যদি রক্তচাপের সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে একেবারেই নুন খাওয়া যাবে না। কিডনির সমস্যা থাকলেও আলাদা করে নুন না খাওয়াই ভাল।