দাঁতে ফিলিং করিয়েছেন? ছবি: সংগৃহীত।
ছোট থেকেই চকোলেট, মিষ্টি খেতে ভাল লাগে। যে কারণে দাঁত ক্ষয়ে একেবারে কালো হয়ে গিয়েছে। ঠান্ডা-গরম খাবার খেতে গেলেই সে তার উপস্থিতি জানান দেয়। সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয় গর্ত হয়ে যাওয়া দাঁতগুলি। কিছু খেতে গেলে খাবারের অংশ সেই গর্তের মধ্যে ঢুকে যায়। ভাল করে মুখ না ধুলে তা পচে মুখগহ্বরে দুর্গন্ধ হয়। সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। তাই পুজোর আগে রাস্তায় পিচ করার মতো দাঁতে ফিলিং করিয়ে সেই গর্ত একেবারে বুজিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু এই ফিলিং তো গর্ত বোজানোর অস্থায়ী একটি পন্থা। তাই যত্ন না করলে তা সহজেই উঠে যেতে পারে। দাঁতের চিকিৎসকেরা বলছেন, ফিলিং দীর্ঘ স্থায়ী করতে মুখগহ্বরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি, কী খাচ্ছেন সে দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
ফিলিং দীর্ঘ স্থায়ী করতে কী কী খাওয়া বারণ?
১) দাঁত ফিলিং করানোর পর যে কোনও শক্ত খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। শক্ত খাবার খেলে অহেতুক দাঁতের উপর চাপ পড়ে। ফিলিং জায়গা মতো বসার আগেই উঠে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে সপ্তাহখানেক শক্ত খাবার না খাওয়াই ভাল।
২) বাদাম খেতে ভাল লাগে। অল্প খিদে মেটাতে এই খাবার খাওয়াই যায়। তা ছাড়া বাদামে যে পরিমাণ ভাল মানের ফ্যাট রয়েছে তা শরীরের জন্যও ভাল। কিন্তু দাঁত তো এত কথা বুঝবে না। সদ্য ফিলিং করা দাঁত দিয়ে বাদাম চিবোতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৩) দাঁতে ফিলিং করার পর চকোলেট, চটচটে মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল। এতে করে সংক্রমণের ভয় খানিকটা হলেও রুখে দেওয়া যায়। নতুন করে দাঁতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
৪) খুব গরম বা খুব ঠান্ডা কোনও পানীয় খেলেও দাঁতের ফিলিং নষ্ট হতে পারে। দাঁতের শিরশিরানিও বেড়ে যেতে পারে।
৫) সুস্থ থাকতে চিকিৎসকেরা রোজ একটি করে আপেল খেতে বলেন। কিন্তু দাঁতের ক্ষেত্রে তা একেবারে উল্টো। বিশেষ করে ফিলিং করানোর পর আপেল, পেয়ারার মতো শক্ত ফল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।