কোন ভুলে ওজন ঝরছে না? ছবি- সংগৃহীত
শারীরবৃত্তীয় সব কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে বিপাকহারের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সময় মতো, সুষম খাবার খাওয়া, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে। যা ওজন ঝরানোর পরিপন্থী। কিন্তু পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা, খাওয়ার রুচি অনুযায়ী তালিকা বানিয়ে নেন। কিন্তু এত কিছুর পরও কিছুতেই ওজন কমছে না। এই ডায়েট করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই এমন কোনও ভুল করে বসছেন না তো?
কোন কোন অভ্যাস আপনার বিপাকহারের উপর প্রভার ফেলছে?
১) স্বল্প আহার
ওজন নিয়ে ইদানীং অনেকেই বেশ সচেতন। অনেকেই মনে করেন, খাবার খাওয়ায় লাগাম টানলেই বোধ হয় ওজন ঝরানো সহজ হবে। সেই লক্ষ্যপূরণে দিনের অর্ধেক খাবারই বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। এতে আদৌ ভাল হচ্ছে কি? পুষ্টিবিদরা মনে করেন, পরিমাণে কম খেলেই যে ওজন কমবে, এমন ধারণার কোনও ভিত্তিই নেই। বরং সঠিক সময়ে খাবার না খেলে তার প্রভাব পড়বে বিপাকহারের উপর। ওজন তো কমবেই না, উল্টে বেড়ে যেতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা।
২) শরীরচর্চা না করা
বিপাকহারের তারতম্যের একটি অন্যতম কারণ হল নিয়মিত শরীরচর্চা না করা। কাজের জন্য এখন অনেকেরই জীবনধারায় বদল এসেছে। দিনের বেশির ভাগ সময়টা বসেই কাটাতে হচ্ছে। কারণ যা-ই হোক না কেন, এই অলস জীবনের ফল ভাল হচ্ছে না।
৩) প্রোটিন বাদ
শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজের মতো যৌগ প্রতি দিনই পাতে রাখতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার তালিকা থেকে প্রোটিন বাদ দিলেই বোধ হয় ওজন ঝরানো সহজ হবে। বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। এর ফলে বিপাকহারের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
৪) ঘুম কম হওয়া
পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও বিপাকহারের উপর প্রভাব পড়ে। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা না ঘুমোলে ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, উদ্বেগের মতো সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
৫) কার্ব না খাওয়া
ওজন ঝরাতে গিয়ে খাওয়ার তালিকা থেকে হঠাৎই একেবারে ভাত-রুটি বাদ দিয়ে দিয়েছেন? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন? দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাসে ছেদ পড়লে বিপাকহার কমে গিয়ে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ বাড়িয়ে তোলে।