ঢ্যাঁড়শের জল খেলে কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে চাপ বেড়েই চলেছে। বাড়ি ফিরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়বেন, তার উপায়ও নেই। হয় রাত জেগে সিরিজ় দেখা, না হয় সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করা। এ যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। নিয়মমাফিক কোনও কিছুই হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়ছে শরীরের উপর। কিছু দিন আগে পর্যন্ত চিকিৎসকেরা পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সটিকে মাপকাঠি ধরতেন। কিন্তু, সেই মাপকাঠি এখন ৩০ বছরে নেমে এসেছে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো রোগ জাঁকিয়ে বসেছে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়মে পেটের রোগেও ভুগতে হচ্ছে হরদম। এই ধরনের সমস্যা বশে রাখতে মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন ঢ্যাঁড়শের উপর। তবে, ঢ্যাঁড়শের কোনও পদ নয়। খেতে হবে ওই সব্জি ভেজানো জল।
ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল খেলে কী উপকার হবে?
১) বয়স ৩০ পেরোনো পুরুষদের মধ্যে ডায়াবিটিসের হার দিনে দিনে বাড়ছে। এই ধরনের সমস্যা বশে রাখতে পারে ঢ্যাঁড়শের জল। ‘ফার্মাসিউটিক্যাল বায়োলজি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, ঢ্যাঁড়শের বীজ এবং খোসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
২) অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং প্রায়শই বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাসে হজম সংক্রান্ত সমস্যা লেগেই থাকে। পেটফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ঢ্যাঁড়শের মধ্যে থাকা পিচ্ছিল পদার্থটি পরিপাকতন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। ‘জার্নাল অফ ফুড সায়েন্স এবং টেকনোলজি’তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেলে অন্ত্র ভাল থাকে।
৩) ঢ্যাঁড়শের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, এই উপাদানটি শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই সব্জিটি।
৪) অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে, ঢ্যাঁড়শের জল খেলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ বলছে, ঢ্যাঁড়শের জলের মধ্যে থাকা ফাইবার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ঢ্যাঁড়শের মধ্যে থাকা ফাইবার, ধমনীর মধ্যে অবাঞ্ছিত কিছু জমতে দেয় না।
৫) বয়সের বাড়লে হাড় ক্ষয়ে যায়। যার ফলে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। ঢ্যাঁড়শের জলে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন কে-র মতো উপাদান রয়েছে। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।