বাতের ব্যথায় দাওয়াই হতে পারে কুমড়ো। ছবি: সংগৃহীত।
এ বছর রাজ্যে ভাল মতোই জাঁকিয়ে বসেছে শীত। আর শীতের দাপটে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। আর তাই বেশি করে শাকসব্জি খেতে বলছেন তাঁরা। কুমড়ো খেতে অনেকেই ভালবাসেন। আবার কেউ একেবারেই পাতে নেন না এই সব্জি। পুষ্টিবিদদের মতে, কুমড়োতে ভিটামিন এ ভাল মাত্রায় থাকে। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। শুধু কুমড়োই নয়, এর বীজগুলিও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস হল কুমড়োর বীজ। তাই এটি ফেলে দেওয়ার আগে চিন্তা করা জরুরি। এ ছাড়া বাজারে শুকনো করা কুমড়োর বীজ কিনতে পাওয়া যায়, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাইলে সেই বীজও কিনে নিতে পারেন।
রোজের খাদ্যতালিকায় কেন রাখবেন কুমড়োর বীজ?
১) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর জিঙ্ক, যা অস্টিওপোরেসিসের মতো হাড়ের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যাঁরা বাতের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা রোজ ডায়েটে এই বীজ রাখতে পারেন।
২) কুমড়োর বীজে থাকে ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম। এই খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজে ফাইবারও থাকে। রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ফাইবার। সব মিলিয়ে কুমড়োর বীজ নিয়ম করে খেলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
৩) কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড। যা অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। একই সঙ্গে মেলাটোনিন আর সেরোটোনিন নিঃসৃত হতে সহায়তা করে। যা অবসাদ কাটিয়ে শরীর, মন তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজে রয়েছে সেরাটোনিন নামের রাসায়নিক উপাদান। যা স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে।শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও এই বীজ উপকারী।
৪) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সালফার, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি আর কে, যা চুল উজ্জ্বল ও ঘন করে তুলতেও সহায়তা করে। এতে রয়েছে কিউকারবিটিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুল ঘন করতে সাহায্য করে।
৫) কুমড়োর বীজে থাকে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই মরসুম বদলের সময় ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়াঘটিত রোগবালাইয়ের প্রকোপ ঠেকাতে এই বীজ নিয়মিত খেতেই পারেন।