কোন ডাল খেলে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড? ছবি: সংগৃহীত।
দৈনন্দিন জীবনে যে ক্রনিক অসুখগুলি হানা দেয়, ইউরিক অ্যাসি়ড তার মধ্যে অন্যতম। এই ধরনের শারীরিক সমস্যা কোনও বয়স দেখে আসে না। যে কোনও বয়সেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে পায়ে ব্যথা বাড়ে। সঠিক নিয়মে না চললে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে একটা বাড়াবাড়ি হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড হওয়া মানেই অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ তৈরি হয়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড হলে পালংশাক, পাঁঠার মাংস, টোম্যাটো— এই ধরনের খাবারগুলি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তা ছাড়া, অনেক স্বাস্থ্যকর খাবারও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের খাওয়া বারণ হয়ে যায়। সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে রয়েছে ডাল। নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের কোন ডালগুলি খাওয়া উচিত নয়?
মুসুর ডাল
ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে প্রোটিন কম খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। মুসুর ডালে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন। বাকি ডালের চেয়ে মুসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে মুসুর ডাল খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ছোলার ডাল
লুচির সঙ্গে এক বাটি ছোলার ডাল হলে মন্দ হয় না। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের ছোলার ডাল খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। মুসুর ডালের মতো না হলেও ছোলার ডালে প্রোটিনের পরিমাণ কম নেই। প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিউলির ডাল
আলুপোস্ত আর বিউলির ডাল বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। তবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় বিউলির ডাল এড়িয়ে চলতে পারেন। বিউলির ডাল খেতে ভাল লাগলেও ইউরিক অ্যাসিড যদি দীর্ঘ দিনের সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে এই ডাল এড়িয়ে চলাই ভাল।