কিডনি ভাল আছে কি না বোঝা যাবে ত্বক দেখেই। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের হাল বোঝা যায় ত্বক দেখেই। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, জল কম খাওয়া— এমন কিছু কারণে কিডনিতে সংক্রমণ হতে পারে। মানবদেহের অন্যতম অঙ্গ কিডনি। দেহের বর্জ্য পদার্থ পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি, শরীরে খনিজ লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে, তা ধরা পড়তে অনেকটা সময় নেয়। অনেক সময়ে এমন হয়েছে, একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। ফলে ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকে আঁচ পাওয়া যায় না। কিডনির প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে সে সম্পর্কে সচেতন হন না অনেকেই। চিকিৎসকদের মতে, কিডনিতে পাথর বা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে কি না, বাইরে থেকে সব সময়ে তা বোঝা যায় না। তবে কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে ত্বকে। ত্বকের কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনি কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত?
১) বাতাসে অত্যধিক আর্দ্রতা শুষ্ক ত্বকের একমাত্র কারণ নয়। শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বক কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করার ফলে ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে টক্সিন জমে থেকে ত্বক শুকিয়ে যায়। তাই হঠাৎ যদি ত্বক শুষ্ক ও খসখসে দেখায় তা হলেও সতর্ক হোন।
২) ত্বকের অতিরিক্ত দাগছোপ কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিডনি ঠিক ভাবে কাজ না করলে, রক্ত পরিষ্কার হয় না। সঠিক ভাবে রক্ত পরিস্রুত না হলে, ত্বকে দাগছোপের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
৩) কিডনির সমস্যা থাকলে ত্বকে ফুসকুড়ি, র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে। ত্বকে এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিলে ফেলে না রেখে দ্রুত এক জন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৪) কিডনিতে সংক্রমণ হলে রক্ত ঠিকমতো পরিশ্রুত হয় না, এর ফলে রক্তে টক্সিন জমে ত্বকের রং বদলে যেতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বক হলদেটে দেখায়, কারও ক্ষেত্রে আবার ত্বক কালচে দেখায়। চামড়ার উপর হলদেটে মাংসল পিণ্ডও চোখে পড়ে অনেক সময়ে।