পাহাড়ে গিয়ে যেন শরীর খারাপ না হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। হাড়হিম করা ঠান্ডা হোক কিংবা ভ্যাপসা গরম— সুযোগ পেলেই বাঙালি পাড়ি দেয় অজানা গন্তব্যে। কখনও বরফে ঢাকা পাহাড় হতে পারে, আবার কখনও ঘন জঙ্গলে। তবে গরম যে ভাবে দাপট দেখাচ্ছে, তাতে অনেকেই ইতিমধ্যে দার্জিলিং কিংবা সিকিমের টিকিট কেটে ফেলেছেন। গরম থেকে স্বস্তি পেতে ঠান্ডার জায়গায় তো যাচ্ছেন। কিন্তু পেটের যত্নও তো নিতে হবে। না হলে বেড়াতে গিয়ে আবার বেকায়দায় পড়তে হতে পারে। এই গরমে বেড়াতে গিয়ে সুস্থ থাকবেন কোন উপায়ে?
১) বেড়াতে যাওয়ার সময়ে হালকা খাবার খাওয়া ভাল। ভারী খাবার সব সময় দ্রুত হজম হতে চায় না। হজম না হলে নানা বমি, পেটের গন্ডগোল, বদহজমের মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এতে যাত্রাপথ খুব একটা সুখকর হয় না। ডিম সেদ্ধ, হালকা মুসুর ডাল, খিচুড়ির মতো কিছু খাবার খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। হজমও ভাল হবে।
২) বেড়াতে যাওয়ার সময় সঙ্গে কিছু খাবার রাখুন। তবে খুব বেশি তেল-মশলাদার খাবার নয়। বাড়িতে তৈরি স্যান্ডউইচ, ফল, ড্রাই ফ্রুটস, স্যালাডের মতো কিছু খাবার। এই খাবারগুলি দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখবে। আবার গরমে শরীরেও কোনও বাড়তি প্রভাব ফেলবে না
৩) বিশেষত এই গরমে ঘুরতে যাওয়ার সময়ে চিপ্স, চানাচুর, তেল জাতীয় কোনও খাবার একেবারে খাবেন না। এই খাবারগুলি অম্বল, গ্যাস, বদহজমের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ট্রেনে বা বিমানে উঠে নানা শারীরিক সমস্যা এড়াতে ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪) গরমে ঘুরতে যাওয়ার সময় প্রচুর জল খান। জলের বোতল সঙ্গে রাখুন সব সময়। বিশেষ করে দূরপাল্লার কোনও ট্রেনে ভ্রমণ করার সময়। বাইরে থেকে জল কিনলেও দেখে নেবেন তা সিল করা আছে কি না। তবে গলা ভেজাতে নরম পানীয় বেশি খাবেন না। ফলের রস বা জল আছে এমন ফল খেতে পারেন।
৫) অন্য সময় কাজের ব্যস্ততায় ঠিক সময়ে খাবার খাওয়া হয় না। তবে ঘুরতে গিয়েও একই ভুল করবেন না। ঠিক সময়ে খাবার খেয়ে নেওয়াটা জরুরি। খালি পেটে ভুলেও ট্রেন বা বিমানে উঠবেন না। তবে একসঙ্গে আবার অনেক খাবার খেয়ে নেবেন না। প্রতিটি খাবারের মধ্যে অন্তত যেন ২-৩ ঘণ্টার বিরতি থাকে। পর পর খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তার থেকে বমি, পেটের গন্ডগোল দেখা দিতে পারে।