বর্ষায় খাওয়ার একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় পেটের সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
বর্ষাকাল মানেই নানা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির পাশাপাশি পেটের গোলমালও দেখা যায়। এই সময়ে হজমের সমস্যায় ভোগেন কমবেশি অনেকেই। বর্ষায় খাওয়ার একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় পেটের সমস্যা। ব্যস, কাজকর্ম বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। বছরের অন্য সময়ে হলে তা-ও ঠিক আছে। কিন্তু এখন তো ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। এ সময়ে কি অসুস্থ হয়ে থাকলে চলে? পুজোর কেনাকাটা এখন থেকেই শুরু না করলে পরে আর সময় পাওয়া যাবে না।
কোভিডের কারণে আগের দু’বছর পুজোর মজা মাটি হয়েছিল। এ বার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল। ফলে পুজোর আনন্দ এখন থেকেই যেন সকলের মনে। উৎসবের এই সময়ে সুস্থ থাকা সবচেয়ে জরুরি। তার জন্য দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছুটা বদল আনা জরুরি।
রোজের কোন অভ্যাসগুলি বদলাবেন?
১) অনেকেই সকালে জলখাবারে বাজারচলতি প্রক্রিয়াজাত ফলের রস খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ফলের রস না খেয়ে গোটা ফল খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। ফলের রসে অনেক সময়ে আলাদা করে চিনি মেশানো থাকে। যা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি।
২) এখন প্রতি দিন সবুজ শাকসব্জি খান। ভাতের পরিমাণ অল্প হলে ক্ষতি নেই। বেশি করে সব্জি দিয়ে রান্না করা তরকারি খান। সেই সঙ্গে খান মরসুমি ফল।
৩) যে সব খাবারে অ্যালার্জি আছে, পুজোর আগে এই কয়েকটি দিন সেগুলি বরং এড়িয়েই চলুন। প্রিয় জিনিস হলেও, শরীরের ক্ষতি হতে পারে এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন।
৪) বাইরের খাবার খাওয়া খানিক কমিয়ে দিন। কাজের ফাঁকে টুকটাক মুখ চালাতে সঙ্গে রাখুন ড্রাইফ্রুটস, বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার।
৫) প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার পারলে বেশি করে খান। রোজ খাওয়ার পরে টক দই খেতে পারেন। দই খাওয়ার অভ্যাস অন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।