—প্রতীকী চিত্র।
ছোটবেলায় পেট একটু গড়বড় করলেই বড়রা জোয়ানের আরক দিতেন। কিংবা নুন-লেবুর রসে জরানো এক চামচ জোয়ান হাতে দিয়ে বলতেন, চিবিয়ে খেয়ে নিতে। একটু পরেই পেট ব্যথা উধাও! গ্যাস হোক বা অ্যাসিডিটি— হজমের যে কোনও সমস্যায় উপকারী জোয়ান। ক্ষুধাবর্ধক হিসাবেও খুব নামডাক। জোয়ানে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে হজম ক্ষমতা বাড়াতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, ত্বক-চুলের যত্নেও জোয়ানের ভূমিকা রয়েছে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জোয়ানের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস। আর রয়েছে প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ্স। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আরাম দেয়। তবে, সকালে খালি পেটে জোয়ানের চা খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর। গরম জলে পাতা চা ভেজানোর সময় একটু জোয়ান দিয়ে দিলেই হল। সঙ্গে আদা দিলেও খেতে ভাল লাগে।
জোয়ানের চা খেলে কী কী উপকার হয়?
১) পেট ফাঁপা থেকে বদহজম— পেটের যে কোনও সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা হিসাবে জোয়ান ব্যবহার করা যায়। গ্যাস-অম্বল তো বটেই, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথার সমস্যা দূর করতেও ফাইবার এবং ল্যাক্সেটিভস সমৃদ্ধ জোয়ান সহায়ক হতে পারে।
২) নিয়মিত গ্যাস-অম্বলের সমস্যা যদি লেগে থাকে, তা হলে খাওয়ার ইচ্ছেও থাকে না। জোয়ানের মধ্যে থাকা ল্যাক্সেটভ হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিপাক হারও বাড়ায়। হজম ভাল হয়। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হলে কিন্তু ওজনও কমবে তাড়াতাড়ি। গ্যাস-অম্বল কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা যদি দীর্ঘ দিন ধরে থাকে, তা হলে সেখান থেকে আসে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সম্ভাবনা। তা-ও দূর হয়।
৩) খালি পেটে জোয়ানের চা শরীরের দূষিত পদার্থকেও প্রস্রাবের মাধ্যমে বার করে দিতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই এতে শরীর সুস্থ থাকে।