পুজোর আগে চার-পাঁচ কেজি ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
অনলাইনে রকমারি হালফ্যাশনের পোশাক দেখেই হাত নিশপিশ! অ্যাপের উইশলিস্টে জামাগুলি রাখছেন বটে তবে কেনার সাহস হচ্ছে না! বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে আপনার বাড়তি ওজন। রোজের জীবনে নানা অনিয়মের ফলে কেবল পেটেই নয়, মেদ জমতে শুরু করেছে শরীরের আনাচ-কানাচে। তবে তথায় আছে না ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। পুজো আসতে এখনও বাকি ঠিক এক মাস। পুজোর আগে চার-পাঁচ কেজি ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? ঠিক কেমন ডায়েট মেনে চললে ওজনও কমবে অথচ শরীরের কোনও ক্ষতিও হবে না, তার হদিস দিলেন পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দোপাধ্যায়।
জীবনযাপনে কিছু স্বাস্থ্যকর বদল এনে, নিয়ম মেনে ডায়েট করে আর অল্প শরীরচর্চা করলে এক মাসে তিন-চার কেজি ওজন ঝরানো অসম্ভব নয়। এমনই মত পম্পিতার। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘একেবারে ক্র্যাশ ডায়েট করার পরামর্শ আমি কখনওই দিই না। ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিয়ে কিংবা তরল-নির্ভর ডায়েট করে ওজন কমানো মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এই সব ডায়েট করে দ্রুত ওজন ঝরে ঠিকই, কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। কার ডায়েট কেমন হবে এই গোটা বিষয়টি বড্ড বেশি ব্যক্তি নির্ভর। কার ওজন কত, রোগীর কোনও শারীরিক অসুবিধা আছে কি না— এই সব বিষয় খতিয়ে দেখে তবেই আমরা ডায়েট চার্ট বানিয়ে দিই রোগীকে। তবে কোনও ক্রনিক অসুখ নেই এমন কেউ যদি মাসে চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে চায় তাঁর জন্য একটি ডায়েট চার্ট বানিয়ে দেওয়া যায়।’’
কোনও ক্রনিক রোগ না থাকলে রোজ কী কী খেলে ওজন ঝরবে কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই?
দ্রুত ওজন ঝরাতে আর কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?
১) খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট সময় ধরে খাওয়া জরুরি।
২) পরিমাণ বুঝে খেতে হবে। খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকলেই বেশি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় আর সেই কারণে ওজনও বাড়তে থাকে।
৩) শরীর জলের ঘাটতি যেন না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। বেশি করে জল খেতে হবে।
৪) ডায়েট করার পাশাপাশি কিন্তু হালকা শরীরচর্চাও করতে হবে। একান্তই সময় না হলে সকালে ৩০ মিনিট অন্তত হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
৫) ঘরের খাবার খেতে হবে। দ্রুত ওজন ঝরাতে হলে রেস্তারাঁর সব লোভনীয় খাবারগুলি, রাস্তার ধারের চপ, কাটলেট, ফিশফ্রাইকে কিছু দিনের জন্য ভুলে যাওয়াই ভাল।
৬) রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে হবে।