Infertility

সন্তানধারণ করতে পারছেন না? ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হননি তো?

ডায়াবিটিসের প্রভাবে বিঘ্নিত হয় হরমোন নিঃসরণ। যা শারীরিক ও মানসিক দু’দিক থেকেই ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। আর কী কী ক্ষতি হয় শরীরের?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১৭
diabetes might cause infertility in men.

ডায়াবিটিস কি বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।

ডায়াবিটিস রোগ একা আসে না। সঙ্গে নিয়ে আসে হাজারটা রোগ। ধমনী ও হৃদ্‌যন্ত্র কিংবা বৃক্ক, গুপ্ত ঘাতকের মতো এই রোগ প্রভাব ফেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সকলের যৌন জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে ডায়াবিটিস।

Advertisement

ডায়াবিটিস যৌন মিলনের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। শারীরিক সক্ষমতাও কমিয়ে দেয় এই রোগ। মধুমেহর প্রভাবে বিঘ্নিত হয় হরমোন নিঃসরণ, যা শারীরিক ও মানসিক দু’দিক থেকেই ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই সন্তানধারণের পরিকল্পনা করার আগে ডায়াবিটিসকে বশে আনা জরুরি। ডায়াবিটিস শরীরে বাসা বাঁধলে দেখা দিতে পারে ডায়াবিটিস ঘটিত নিউরোপ্যাথি। ডায়াবিটিসের প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হলে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এই রোগের প্রভাবে যৌনাঙ্গে ব্যথা ও অসাড়তার মতো সমস্যা দেখা দেয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে লিঙ্গ শিথিলতা। শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মানের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য আবশ্যিক কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে কিছু ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ বিঘ্নিত হতে পারে, যার ফলে লিঙ্গ শিথিলতার সমস্যা তৈরি হয়।

diabetes might cause infertility in men.

ডায়াবিটিস যৌন মিলনের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চাদমুখী বীর্যপাতও ডায়াবেটিকদের আরও একটি বড় সমস্যা। এই রোগে লিঙ্গের বদলে মূত্রাশয়ে বীর্য প্রবেশ করে। শুধু পুরুষরাই নন, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত মহিলারও একই ভাবে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। মধুমেহর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি নারী দেহে দেখা যায়, তা হল যোনিদেশের শুষ্কতা। হরমোনের তারতম্য ও রক্ত সঞ্চালনের সমস্যাই এর মূল কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবিটিসের আক্রমণে মহিলাদের যোনির প্রদাহ ও সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি পায় মূত্রনালির সংক্রমণ বা ইউটিআই-এর আশঙ্কাও।

তাই সম্তানধারণের পরিকল্পনা শুরু করলে ডায়াবিটিসের বিষয়টিও লক্ষ রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করা, খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। প্রতি ছ’ মাস অন্তর রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement