সকালে কী খাবেন, কী খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত
করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও দীর্ঘ দিন তার প্রভাব থেকে যেতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৮০ শতাংশ করোনা আক্রান্তই সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও ভুগতে থাকেন কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে।
কী ভাবে করোনার এই প্রভাব কাটাবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিকিৎসকেরা নানা পরামর্শ দিয়েছেন। তবে মনে রাখতে হবে, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে খাবারের গুরুত্বও কম নয়। করোনার প্রভাব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে কী খাবেন? রইল তালিকা।
প্রাতঃরাশ: দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ঘুম ভাঙার দু’ঘণ্টার মধ্যে প্রাতঃরাশ সেরে নেওয়া উচিত। কী কী খেতে পারেন দিনের এই সময়ে? রইল তালিকা। এর মধ্যে থেকে যে কোন দু’টি একসঙ্গে বেছে নিতে পারেন।
• এক বাটি ওটস, তার সঙ্গে পাতলা দুধ।
• দুটো ধোসা, তার সঙ্গে এক বাটি কিনোয়া।
• মুগ ডালের চাট, তার সঙ্গে দুটো ডিমসিদ্ধ।
সকালের হাল্কা খাবার: প্রাতঃরাশ আর মধ্যাহ্নভোজের মাঝে হাল্কা কিছু খেতেই হবে। সবেচেয়ে ভাল হয়, যদি ফল খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ফল এই সময়ে খেলে ভাল। কোন কোন ফল খেতে পারেন?
• আপেল
• পেয়ারা
• পাকা পেঁপে
• তরমুজ
• বেরি
মধ্যাহ্নভোজ: দুপুরে দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে মধ্যাহ্নভোজ। কী কী খেতে পারেন এই সময়ে?
• এক থালা স্যালাড
• এক বাটি ডাল বা মুরগির মাংস
• এক বাটি দই বা রায়তা
• এর সঙ্গে একটা বা দুটো ছোট রুটি
বিকেলের খাবার: এই সময়ে অনেকেই চা খান। কিন্তু চায়ের সঙ্গে কী খাবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকে। কী কী খেতে পারেন, দেখে নেওয়া যাক।
• চিনি এবং দুধ ছাড়া চা
• চা না খেলে মুরগির মাংসের স্টু খেতে পারেন
• মাল্টিগ্রেন বিস্কুট
নৈশভোজ: ৭:৩০ থেকে ৮:৩০-এর মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলা উচিত। খুব বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার এই সময়ে খাওয়া যাবে না। তালিকায় থাকতে পারে:
• আনাজপাতি বা পনির বা মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল।
• এর সঙ্গে খেতে পারেন মুগ ডালের তৈরি খিচুড়ি। তবে অল্প পরিমাণে।
• জোয়ার বা বাজরার একটা বা দুটো রুটিও চলতে পারে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে: ঘুমাতে যাওয়ার অনেকেরই খিদে পেয়ে যায়। তখন পাতলা দুধ খেতে পারেন। কিন্তু তার বেশি কিছু নয়।