Medical Treatment

তৈরি নতুন ভবন, এক ছাদের তলায় মা ও শিশুর সব চিকিৎসা মেডিক্যালে

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, রামপুরহাট মেডিক্যালের এক প্রান্তে ছিল প্রসূতি বিভাগ। অন্য প্রান্তে ছিল অসুস্থ শিশুদের ‘এসএনসিইউ’ বিভাগ। শিশু বিভাগটি আরও বেশ কিছুটা দূরে ছিল।

Advertisement
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। এ বার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক ছাদের তলায় মা ও শিশুর যাবতীয় চিকিৎসার সুবিধা মিলবে। এর জন্য নতুন ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নির্মাণকারী সংস্থা এক সপ্তাহ আগে নতুন ভবনটি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে। এখানেই গড়ে উঠবে ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’।

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, রামপুরহাট মেডিক্যালের এক প্রান্তে ছিল প্রসূতি বিভাগ। অন্য প্রান্তে ছিল অসুস্থ শিশুদের ‘এসএনসিইউ’ বিভাগ। শিশু বিভাগটি আরও বেশ কিছুটা দূরে ছিল। ফলে, মা ও শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমস্যা হত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের। সমস্যা হত রোগী ও পরিজনদেরও।

এই অসুবিধা দূর করার জন্য বছর ছয়েক আগে এক ছাদের তলায় মা ও শিশুর সমস্ত ধরনের চিকিৎসা পরিবেষা চালু করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু এর জন্য পৃথক কোনও ভবন ছিল না। তাই পুরাতন ভবন সংস্কার করে কাজ শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্য ভবনে আবেদন জানাচ্ছিলেন।

বছর দুই আগে বগটুই কাণ্ডে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে রামপুরহাট হাসপাতালে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৃথক ভবন জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী সে সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নতুন ভবন নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন।

পরে স্বাস্থ্য ভবন থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ নির্মাণের জন্য প্রায় ১৫ কোটি ৮১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই অর্থেই শেষ হয়েছে নতুন ভবন তৈরির কাজ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ১৫০টি শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। ‘এসএনসিইউ’ বিভাগের জন্য ৪০টি শয্যা থাকবে। এক ছাদের তলায় প্রসূতি বিভাগ, অস্ত্রোপচার কক্ষ, ‘এসএনসিইউ’ এবং ‘সিসিইউ’ বিভাগ থাকবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, একই ভবনে চালু করা হবে ইউএসজি পরিষেবাও। পৃথক ভাবে শিশু বিভাগও গড়ে তোলা হবে। প্রসবের আগে ও পরে চিকিৎসার জন্য প্রসূতিদের পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। সবচেয়ে নীচের তলায় থাকবে ‘সিসিইউ’ বিভাগ। মায়েদের মৃত্যুর হার কমানোর জন্য ‘এইচডিইউ’ বিভাগ খোলা হবে।

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও উপাধ্যক্ষ পলাশ দাস বলেন, ‘‘আপাতত ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের’ জন্য নব নির্মিত ভবনে বহির্বিভাগ চালু করা হবে। পরে ওই ভবনে স্ত্রী রোগের যাবতীয় চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার-সহ সদ্যোজাতদের জন্য ‘এসএনসিইউ’ বিভাগ চালু করা হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন