Banglar Bari

টাকা ঢোকার আগেই ‘কাটমানি’, বিতর্ক অডিয়োয়

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্ব কাটমানি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেও স্থানীয় নেতারা ‘স্বভাব’ বদলাতে পারছেন না। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, “অডিয়োটি কতটা ঠিক, দেখতে হবে।”

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৩
তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, ওই অডিয়োয় কথোপকথনরত দু’জনের বাড়ি মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ায়।

তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, ওই অডিয়োয় কথোপকথনরত দু’জনের বাড়ি মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ায়। —প্রতীকী চিত্র।

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার আগেই ‘যোগ্য’ তালিকায় নাম থাকা এক উপভোক্তার নিকটাত্মীয়কে ফোন করে ‘কাটমানি’ চাওয়ার একটি অডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি)। তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, ওই অডিয়োয় কথোপকথনরত দু’জনের বাড়ি মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ায়। ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি মঙ্গলকোটের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সান্ত্বনা গোস্বামীর পরিজন।

Advertisement

অডিয়োয় ‘সুব্রতদা’ বলে সম্বোধন করে কথোপকথন শুরু হচ্ছে। সুব্রতকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এক কুড়ি পাবি। ধরে রেখে দিবি। বাকিটা আমরা বুঝে নেব। পরে আমরা তোকে একটা দিয়ে দেব। আছি তো আমি’। উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, তিনি কাটোয়ায় কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের জন্য ইট তোলার অনুমতি তিনি ‘সুব্রতদা’র কাছে পেয়েছেন। সরকারি আর্থিক অনুদানও নিশ্চিত ভাবে পেয়ে যাবেন বলে ‘দাদা’ আশ্বাস দিয়েছেন। তার পরেই ‘দাদা’কে বলতে শোনা যায়, ‘ডিসেম্বরের ১৫-১৬ তারিখের মধ্যেই টাকা ঢুকে যাবে। আমারটা রেখে দিস। শোন, দাদা দাদা-ই হয়’। উল্টো দিকের কণ্ঠও বলেন, ‘তোমারটা অবশ্যই থাকবে’। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির মায়ের নাম আবাসের উপভোক্তা তালিকায় অগ্রাধিকারে রয়েছে। তবে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রাপকের তালিকায় তাঁর নাম নেই। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, ওই ‘সুব্রতদা’ মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি সান্ত্বনা গোস্বামীর দাদা, শিমুলিয়া ১ পঞ্চায়েত এলাকার নেতা সুব্রত গোস্বামী। সুব্রত বলেন, “ওই ব্যক্তির পরিবার অনুদান পায়নি। সব গুজব।’’ সান্ত্বনাও বলেন, “ভুল খবর। গলাটাও অপরিচিত।’’

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্ব কাটমানি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেও স্থানীয় নেতারা ‘স্বভাব’ বদলাতে পারছেন না। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, “অডিয়োটি কতটা ঠিক, দেখতে হবে।” বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, “এসডিওকে জানিয়েছিলাম। বিডিও তদন্ত করে দেখেছেন। কিন্তু কাটমানি চাওয়ার খবর ভুয়ো বলেই প্রমাণিত হয়েছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন