কী ভাবে তাপসের মৃত্যু হল, ঠিক কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। —প্রতীকী চিত্র।
একটি বাড়ি থেকে দু’জনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করায় সোমবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল তেহট্টের হাইস্কুল পাড়া এলাকায়। পুলিশ এসে ওই দু’জনকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃতের নাম তাপস সরকার (৫০)। অন্য জন মৃতের মা আরতি সরকার (৭০)। ওই বৃদ্ধা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের নিমতলা এলাকায়। বেশ কয়েক মাস আগে তিনি স্ত্রী, মা ও দুই মেয়েকে নিয়ে তেহট্ট হাইস্কুল পাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতে আসেন। জানা গিয়েছে, বহরমপুরের বাড়ি বিক্রি করেই তেহট্টে এসেছিলেন তাপস। গত শনিবার তাঁর স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে সাহেবনগরে তাঁর বাবার বাড়িতে যান। ভাড়া বাড়িতে ছিলেন শুধুমাত্র তাপস এবং তাঁর মা। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে তাঁদের দেখা যাচ্ছিল না। বাড়ির বাইরেও প্রতিবেশীরা দেখা পাননি। এই অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যার পর প্রতিবেশী কয়েক জন তাপসের বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু কোনও উত্তর না পেয়ে তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে দেখে, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় শুয়ে আছেন তাপস। অন্য বিছানায় শুয়ে গোঙাচ্ছিলেন আরতি। ঘরের ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মল। পুলিশই তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাপসকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। আরতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসের মা আরতি বিশেষ ভাবে সক্ষম। ঠিক ভাবে কথা বলতে পারেন না। অন্য দিকে, তাপস ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তবে কী ভাবে তাপসের মৃত্যু হল, ঠিক কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশ ওই বাড়ি ‘সিল’ করে দিয়েছে। মোতায়ন করা হয়েছে দু’জন সিভিককে। পাশাপাশি, পর্যবেক্ষণের জন্য লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। পুলিশ জানিয়েছে, রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে তদন্ত ঠিক ভাবে করার জন্যই ওই সকল পদক্ষেপ করা হয়েছে।