পান্তাভাতের বদলে কী খেলে ঘুম পাবে না, আবার শরীরও ঠান্ডা থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পান্তা খাওয়ার চল নতুন নয়। তবে, এখন তো ক্যালোরি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সচেতনতা বেড়েছে। তা ছাড়া পান্তাভাত খেলে ভীষণ ঘুম পায়। কাজে মন দেওয়া যায় না একেবারে। তাই ছুটির দিন পান্তা খেলেও অন্যান্য দিন সচেতন ভাবে পান্তা এড়িয়ে চলেন। তবে, এই ধরনের গরম, শুষ্ক আবহাওয়া কিন্তু রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের মতো দেশের অন্যান্য রাজ্যে বছরের বড় সময় জুড়ে থাকে। সর্বত্র তো পান্তা খাওয়া হয় না! সেই সব অঞ্চলে মিলেট খাওয়ার চল বেশি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জল-ভাতের বিকল্প হিসাবে মিলেট কিন্তু বেশ কাজের।
ইদানীং মিলেট নিয়ে মাতামাতি বৃদ্ধি পেলেও এই শস্য খাওয়ার চল বহু দিনের। গেরস্ত বাড়িতে দিদিমা-ঠাকুরমায়েরা উপোসের দিন এই ধরনের খাবারই খেতেন। লুচি, পরোটা খেলে অম্বল হয়, তাই শ্যামাচাল কিংবা কদুচাল দিয়ে খিচুড়ি, পায়েস বানানো হত হামেশাই। এই শ্যামাচাল কিংবা কদুচাল আসলে মিলেটেরই জাতভাই। এই ধরনের খাবার শরীরের পুষ্টি তো জোগায়ই, সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে দেয় না। ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
জল-ভাতের বদলে এমন আর কী কী খেলে শরীর ঠান্ডা থাকতে পারে?
১) জল দেওয়া ভাত বা পান্তার দারুণ বিকল্প হতে পারে শ্যামাচাল বা ‘বার্নইয়ার্ড মিলেট’। দেখতে অনেকটা সুজির মতো। কিন্তু আকারে সুজির চেয়ে বড়। এই মিলেটে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট, এই দু’টির পরিমাণ কম। এ ছা়ড়া প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং বিভিন্ন জরুরি ভিটামিনে সমৃদ্ধ এই খাবার শরীর ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
২) বাজরা বা ‘পার্ল মিলেট’ ভাত কিংবা রুটির বিকল্প হিসেবে খাওয়াই যায়। ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে সমৃদ্ধ বাজরা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। হজমের গন্ডগোল থাকলে তা-ও নিরাময় করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে বাজরা।
৩) সহজপাচ্য ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর জোয়ার ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্র ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বশে থাকে।