ঋতুস্রাব বন্ধ হলেও বিপদ? ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য পা রেখেছেন ৪০-এ। হঠাৎ ঋতুচক্রের স্বাভাবিক ছন্দে গোলমাল ঠেকছে। এর আগে কখনও এমনটা হয়নি। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট দিনে না হলেও, দিন তিনেক এগিয়ে বা পিছিয়ে যেত। কিন্তু এখন দু'টি মাসের স্বাভাবিক ঋতুচক্রের যে ব্যবধান, তার মাঝেই আবার হালকা ‘স্পটিং’ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই বয়সে এসে হঠাৎ সাদাস্রাবের উপদ্রবও দেখা যাচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে, ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখেছেন, এই বয়সে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, যে বয়সের দিকে এগোচ্ছে্ন, তাতে যে কোনও দিন রজোনিবৃত্তি হতে পারে। কিন্তু যদি তা না হয়, তা হলে এই ধরনের সমস্যা কি জরায়ুমুখের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে?
মেয়েদের শরীরে যত ধরনের ক্যানসার হানা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হল জরায়ুমুখের ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। সাধারণত অসুরক্ষিত যৌনসংসর্গ থেকেই শরীরে হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)-এর আক্রমণেই জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রাথমিক ভাবে এই রোগ প্রতিহত করতে চাইলে সচেতন থাকাই একমাত্র হাতিয়ার।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সঙ্গে জরায়ুমুখের ক্যানসারের যোগ রয়েছে। তাই এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ বলতে প্রথমেই অনিয়মিত ঋতুচক্রের দিকে আঙুল চলে যায়। সে ক্ষেত্রে যে বয়সেই এই লক্ষণ দেখা যাক, চিকিসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
কী ধরনের উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) স্বাভাবিক ঋতুচক্রের মাঝে হঠাৎ অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ। সঙ্গে দুর্গন্ধ থাকলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
২) কমবয়সি মেয়েদের মধ্যে সাদাস্রাব স্বাভাবিক হলেও মধ্যবয়সে এই ধরনের লক্ষণ মোটেও ভাল নয়। সঙ্গে যদি রক্তের ছিটে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩) সঙ্গমের সময়ে অস্বাভাবিক কষ্ট বা পেটে যন্ত্রণাও কিন্তু জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণ হতে পারে।