মন ভাল রাখার দাওয়াই হতে পারে ত্বকচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
ক’দিন ধরেই মনটা ভাল নেই। পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। তবু কেনাকাটা করতে ইচ্ছে করছে না। অনলাইন সাইটে সারা ক্ষণ চোখ রাখতেও ক্লান্তি বোধ হচ্ছে। অফিস থেকে ক’দিন ছুটি নিয়ে যে কোথাও ঘুরে আসবেন, সে উপায়ও নেই। ছুটি বাড়ন্ত। শীতকালের বিকেলগুলো যেমন ধূসর হয়, মনটাও অকারণে এমন রঙা হয়ে থাকে কোনও কোনও দিন। এই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে অনেকে ঈষদুষ্ণ জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্নান করেন। আবার, অনেকে সালোঁয় গিয়ে ত্বকচর্চা করিয়ে আসেন। মনোরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু ত্বকচর্চা নয়, নিজেকে ভাল রাখার যে কোনও কাজই মনখারাপ বশে রাখার দারুণ পন্থা হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় সে প্রমাণ মিলেছে।
ত্বক পরিচর্যার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে। মন খারাপ থাকলে নিজের দিকে তাকাতে বা নিজের কথা ভাবতে একেবারেই ইচ্ছে করে না। কিন্তু মনোবিদেরা বলছেন, মন ভাল রাখতে সব সময়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বক পরিচর্যার অনেকগুলি ধাপ রয়েছে। যার মাধ্যমে ত্বকের উন্নতি হয় সঙ্গে মানসিক চাপ, উদ্বেগের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ফেশিয়াল কিংবা মুখে মাসাজ করলে ত্বক ভাল থাকে। পাশাপাশি, মস্তিষ্ক, হার্ট, শ্বাসযন্ত্র এবং দেহের পেশি আরাম পায়। ত্বক চকচকে থাকলে ‘এনডরফিন’ হরমোনের মাত্রাও সঠিক থাকে। যার ফলে মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক সময়েই কাজে যেতে ইচ্ছে করে না। দেরি হচ্ছে দেখেও বিছানা আঁকড়ে পড়ে থাকেন অনেকে। কিন্তু ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে ঘুম থেকে উঠে যদি সামান্য ত্বকচর্চা করা যায়, এটি কিন্তু সারা দিনের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করে তুলতে পারে। আবার, রাতে বাড়ি ফিরে ত্বকচর্চা করার ফল উল্টো। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রস্তুতি নিতেও সাহায্য করতে পারে এই টোটকা।
মানসিক চাপ বা উদ্বেগজনিত অস্বস্তি সামাল দিতে বড় বড় শিল্পীও কিন্তু রূপটানের সাহায্য নেন। তার জন্য পেশাদার রূপটানশিল্পী ডেকে আনার প্রয়োজন পড়ে না। একটু কাজল, হালকা লিপস্টিক এবং কপালে ছোট একটি টিপ পরলেই অনেক সময়ে মনমেজাজ বদলে যেতে পারে।