চক্রীফুল ভেজানো জল খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
কামরাঙা ফলটি আড়াআড়ি ভাবে কাটলে যেমন দেখতে হয়, স্টার অ্যানিস বা চক্রফুলটি দেখতেও অনেকটা তেমনই। তবে এটি কোনও ফল নয়। এই মশলার আদি বাসস্থান চিনে। মহাদেশীয় নানা ধরনের পদে মশলা হিসাবে ব্যবহার করার চল বহু পুরনো। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন এই চক্রীফুলের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এই মশলার জুড়ি নেই।
চক্রফুল ভেজানো জল খাবেন কেন?
১) এটি যেমন ডিটক্স পানীয় হিসাবে কাজ করে, তেমন বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) মরসুম বদলের সময় সংক্রমণজনিত সমস্যা এড়াতেও এই পানীয় দারুণ কাজের। চক্রফুলের মধ্যে রয়েছে ‘শিকিমিক অ্যাসিড’। আসলে এটি অ্যান্টিভাইরাল একটি উপাদান।
৩) চক্রফুল এক দিকে যেমন অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ, তেমনই এর মধ্যে কার্মিনেটিভ উপাদানও রয়েছে। তাই পেটের গোলমাল কিংবা বদহজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও তা নিরাময় করে।
৪) ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময় করে চক্রফুল ভেজানো জল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয়টি ভিতর থেকে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।
৫) চক্রফুলের হালকা, মিষ্টি ঘ্রাণ স্নায়ুর উদ্বেগজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মানসিক চাপ বশে থাকে। অনিদ্রাজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই পানীয়।
চক্রফুল ভেজানো জল কী ভাবে তৈরি করবেন?
কাচের বড় একটি পাত্রে পরিমাণ মতো জল নিন। তার মধ্যে কয়েক টুকরো স্টার অ্যানিস দিয়ে দিন। খোসা-সহ কয়েক টুকরো লেবু, পুদিনা পাতাও দেওয়া যেতে পারে। এই অবস্থায় সারা রাত রেখে দিন। হাতে বেশি সময় না থাকলে অন্ততপক্ষে ঘণ্টা চারেক জলে এই মশলা ভিজতে দিন। তার পর সেই জল খাওয়া যেতে পারে।