অভিনেত্রী সারা আলি খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে ফিট থাকার কায়দা, নিয়ম, ধরন। কখনও যোগাভ্যাস, কখনও ভারী শরীরচর্চা, কখনও কার্ডিয়োয় মনোযোগ দিয়ে শরীর সুস্থ রাখার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন মানুষ। ইদানীং ফিটনেস প্রশিক্ষকদের পছন্দের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে পিলাটেস। গত শতকের গোড়ার দিকে জোসেফ পিলাটেস শুরু করেছিলেন ফিট থাকার এই নয়া উপায়। তাঁর নাম থেকেই পরে নামকরণ হয়। বডি স্ট্রেচিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয় এই বিশেষ পদ্ধতিতে। সারা আলি খান, মালাইকা অরোরা, ক্যাটরিনা কইফের মতো অভিনেত্রীরা সুস্বাস্থ্যের জন্য ইদানীং পিলাটেসে ভরসা রাখছেন।
সম্প্রতি অভিনেত্রী সারা আলি খান ইনস্টাগ্রামে একটি ফিটনেট ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন। ভিডিয়োয় অভিনেত্রীকে পিলাটেস করতে দেখা যাচ্ছে। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘‘প্রথমে মেদ ঝরিয়েছি, এখন অ্যাবস বানাব।’’ সিনেমাজগতে আসার আগে সারার চেহারা ছিল যথেষ্ট ভারী। তবে এখন অভিনেত্রীর ছিপছিপে শরীর দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। নিয়মিত পিলাটেস করেই ফিট থাকেন সারা। জেনে নিন, পিলাটেস কেন এত উপকারী।
১) মাঝেমধ্যেই শরীরের নানা অংশে আঘাত লাগে। স্লিপ ডিস্ক, ফ্রোজেন শোল্ডার, স্পন্ডিলোসিস, আর্থ্রাইটিস ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পিলাটেসের উপর ভরসা রাখতে পারেন। পিলাটেস কিন্তু কোনও রোগকে নির্মূল করে সারিয়ে তোলে না। কিন্তু হাড়, অস্থিসন্ধি, পেশিগত নানা আঘাতের কষ্ট কমিয়ে সুস্থ জীবনে ফেরাতে সাহায্য করে।
২) মেরুদণ্ড, তলপেট, পেটের উপর দিক এবং পেলভিক অঞ্চলের পেশির জোর বাড়িয়ে গোটা শরীরের ভারসাম্য বাড়াতে সাহায্য করে। শরীর নমনীয় করে তুলতেও এই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার।
৩) যন্ত্রণায় কাবু যাঁরা হাঁটতে-চলতে কষ্ট পান, তাঁরাও নিয়মিত পিলাটেস চর্চার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে পারেন। মানসিক অবসাদ কমাতেও এই ব্যায়াম দারুণ উপকারী।
৪) এ ছাড়াও মেদ ঝরাতে এই ব্যায়াম বেশ উপকারী। তবে অন্যান্য শরীরচর্চার মতো দ্রুত গতিতে ফ্যাট ঝরে না এই ক্ষেত্রে। পেশির জোর বাড়ে। পিলাটেস করলে ওজন মারাত্মক কমবেই, তার কোনও মানে নেই। কিন্তু শরীরের গড়ন সুন্দর করতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম।
৫) সারার মতো অ্যাবস তৈরি করতেও এই বিশেষ ব্যায়ামের উপর নির্ভর করতে পারেন।