Pot Belly

মধ্যবয়সের নাদুসনুদুস ভুঁড়ি শুধুই সুখী দাম্পত্যের লক্ষণ নয়, বড় চিন্তার ইঙ্গিতও দেয়

অনেকেই মনে করেন, ভুঁড়ি আকার-আয়তনে বাড়তে থাকলে মস্তিষ্কে স্মৃতির ভান্ডার ক্রমশ ছোট হতে থাকে। এই ধারণা যে সত্যি, তা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ফ্লোরিডা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৭
Bigger belly in the middle age linked to Alzheimer’s disease in the future.

কোন রোগের ইঙ্গিত রয়েছে লুকিয়ে? ছবি: সংগৃহীত।

যতই শরীরচর্চা করুন না কেন, একটা বয়সের পর পেটে মেদ জমবেই। গেরস্তদের ধারণা, উদরে ছোটখাটো একটি ভুঁড়ি না কি সুখী দাম্পত্যের লক্ষণ। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা যা বলছে, তা বেশ ভয় ধরানো। মধ্যবয়সে পেটের এই বাড়তি মেদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুর রোগ অ্যালঝাইমার্স। ‘এজিং অ্যান্ড ডিজ়িজ়’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তথ্যটি। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন-এর সহকারী অধ্যাপক, চিকিৎসক সাইরাস রাজি এবং তার দল এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সি প্রায় ৫০ জন।

Advertisement

গবেষেকেরা বলছেন, পেটের পেশির তলায় জমা মেদের সঙ্গে সরাসরি কোনও ইনসুলিনের কোনও যোগ নেই। কিন্তু এ কথা প্রমাণিত যে পেটে মেদের পরিমাণ বাড়তে থাকলে, শরীরে ইনসুলিন ক্ষরণ বা উৎপাদনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। যা শরীরে, মস্তিষ্কে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফ্লোরিডার এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “অনেকেই মনে করেন, ভুঁড়ি আকারে-আয়তনে বাড়তে থাকলে মস্তিষ্কে স্মৃতির ভান্ডার ক্রমশ ছোট হতে থাকে। এই ধারণা যে সত্যি, তা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু দেহের অন্যান্য অংশে জমা মেদের সঙ্গে অ্যালঝাইমার্সের যোগ ঠিক কোথায়, তা এর আগে জানা যায়নি।”

Bigger belly in the middle age linked to Alzheimer’s disease in the future.

মধ্যবয়সে পেটের বাড়তি মেদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুর রোগ অ্যালঝাইমার্স। ছবি: সংগৃহীত।

সাইরাস বলেন, “যাঁদের পেটে মেদ রয়েছে, তাঁদের শরীরে অ্যামলয়েড নামক একটি প্রোটিনের অস্বাভাবিক উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। এই অ্যামলয়েড নামক প্রোটিনের সঙ্গে কিন্তু অ্যালঝাইমার্সের যোগ রয়েছে।” শুধু তা-ই নয়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধ্যবয়সে পুরুষদের পেটে মেদ জমার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কিন্তু মহিলাদের তুলনায় পুরুষদেরই বেশি।

আরও পড়ুন
Advertisement