কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে ৩ চা। ছবি: সংগৃহীত।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। সকালে অফিস যাওয়ার আগে স্নানঘরে ঢুকলে বেরোতে দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে ভুগতে হতে পারে বিভিন্ন কারণে। বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক, জল কম খাওয়া, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি অত্যধিক আসক্তি কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা ওষুধ খান। তাতে সাময়িক সুফল মেলে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করতে পারে কয়েকটি চা। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সকালে চুমুক দেবেন কোন চায়ে?
গ্রিন টি
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় গ্রিন টি মহৌষধি। অনেকেই হয়তো জানেন না, গ্রিন টি-তে রয়েছে ক্যাফিন। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কফিতে যে পরিমাণ ক্যাফিন থাকে, গ্রিন টি-তে তার চেয়ে কম থাকে। তবু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে গ্রিন টি অন্যতম বিকল্প। ক্যাফিন ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ গ্রিন টি হজমের গোলমাল ঠেকায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হতেই পারে না।
লেবু এবং আদা চা
গ্যাস জমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। আর আদা গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম ওষুধ যে আদা, তা বলা যায়। তবে আদার সঙ্গে যদি জুটি বাঁধে লেবু, তা হলে দ্বিগুণ সুফল মেলে। আদা কুচি এবং লেবুর রস দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ চা। সকালে খালি পেটে এই চা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে।
পুদিনা চা
গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমায় পুদিনা পাতা। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে পুদিনা চায়ে ভরসা রাখতে পারেন। পুদিনা পাতা শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় পুদিনা হজমের গোলমাল কমায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়লে পুদিনা চা সত্যিই উপকারী।