শীতে দুধের গুণেই সুস্থ থাকবে শরীর। ছবি: সংগৃহীত।
শীতে রোগবালাই পিছু ছাড়তে চায় না। ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি তো আছেই, সেই সংক্রমণজাতীয় সমস্যাও বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। সাময়িক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে ওষুধপত্র তো আছেই। তবে রোগের সঙ্গে ল়ড়াই করার শক্তি থাকা চাই শরীরে। না হলে গোটা শীতকাল অসুস্থ হয়ে কাটাতে হবে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এমন খাবারের তালিকা দীর্ঘ। তবে শীতে ফিট থাকতে দুধ হতে পারে অন্যতম ভরসা। ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সারা বছরই দুধ খাওয়া জরুরি। শীতকালে দুধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা যেন বেড়ে যায়। তবে শুধু দুধ না খেয়ে কিছু উপকরণ মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর পানীয়।
হলদি দুধ
রাতে শোয়ার আগে হলদি দুধে চুমুক দিলে দারুণ সুফল পাবেন। এক কাপ দুধে এক চিমটে হলুদ, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। খেতে সুস্বাদু তো বটেই। এই মধু থাকায় ভিতর থেকে একটা চনমনে ভাবও তৈরি হয়।
জাফরন, কাঠবাদাম দুধ
জাফরনে রয়েছে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপাদান। ফলে শীতে জাফরন খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। আর কাঠবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফিটামিন ই। এই দুই উপকরণ যেকোনও রোগের সঙ্গে ল়ড়াই করতে শরীরকে প্রস্তুত করে। তবে দুধে এই দু’টি উপকরণ ছাড়াও স্বাদ আনতে মেশাতে পারেন মধু।
দারচিনি দুধ
দারচিনিতে রয়েছে হজমশক্তি বৃদ্ধি করার প্রাকৃতিক উপাদান। শীতকালে হজম ঠিকঠাক না হওয়ায় গ্যাস-অম্বল লেগেই থাকে। সুস্থ থাকতে দারচিনি অন্যতম ভরসা হতে পারে। দারচিনি গুঁড়ো করে এক কাপ দুধে ভাল করে মিশিয়ে নিন। চাইলে গোলাপের পাঁপড়িও দিতে পারেন। গোলাপের পাঁপড়ি রাতে দ্রুত ঘুমোতে সাহায্য করে।