কোন কোন পানীয় বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। ছবি: ফ্রিপিক।
বয়সের চাকা গড়াবেই। কালের নিয়মে যৌবনেও মরচে ধরবে। বুড়োটে ছাপ পড়বে চেহারায়। একজন মহিলা ও পুরুষের বয়স যখন চল্লিশ পার হয়, তখনই তার চেহারায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়েই ধরা দেয়। হালকা বলিরেখা উঁকি দিতে থাকে ত্বকে। তারুণ্য ধরে রাখতে কেউ রূপচর্চায় বেশি সময় দেন, একগাদা টাকা খরচ করে বিভিন্ন রকম প্রসাধনী কিনে ফেলেন, আবার কেউ বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলে নানা রকম ওষুধ, হরমোন ইঞ্জেকশন বা সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার শুরু করেন। এতে বয়স তো কম দেখায়ই না, উল্টে বিভিন্ন রকম অসুখবিসুখ বাসা বাঁধতে থাকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাইরে থেকে যত দামি প্রসাধনীই মাখুন না কেন, ভিতর থেকে শরীরের কলকব্জার যত্ন না নিলে লাভ বিশেষ কিছু হবে না। তার জন্য দরকার প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদান। কিছু পানীয় আছে যা নিয়মিত পান করলে তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব।
বয়সের ছাপই পড়বে না, কী কী পানীয়ে ভরসা রাখতে পারেন
১) গ্রিন টি খুব উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ-চা বা দুধ-কফি না খেয়ে গ্রিন টি-তে চুমুক দিন। এর মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীরকে ভিতর থেকে সতেজ রাখে ও বলিরেখা পড়তে দেয় না।
২) দুধ খান। দুধে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম থাকায় ত্বক ভাল থাকে। তবে ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্স থাকলে না খাওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে নিয়ম করে সয়া মিল্ক খেতে পারেন। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়বে না। এ ছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকবে।
৩) দোকান থেকে প্যাকেটবন্দি জুস না কিনে, বাড়িতেই বানিয়ে নিন আঙুরের রস। আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম আছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ত্বকে দাগছোপ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। পাশাপাশি সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকেও ত্বকে বাঁচায়।
৪) টম্যাটোর রস খেয়েছেন? টম্যাটোর স্যুপও খুব উপকারী। টম্যাটোতে আছে লাইকোপিন নামে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ভিটামিন এ, কে ও সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৫) গাজর চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরের রস নিয়মিত খেলে ত্বক ভাল থাকে।
৬) রোজ সকালে এক গ্লাস লেবু-মধুর জল খেলে ওজন কমানো যায়। আবার এই পানীয় শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বার করতেও সক্ষম।
৭) রেড ওয়াইনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস, যা বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, কার্সিনোজেনিক এবং ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রেড ওয়াইনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও আছে। প্রতি দিন যদি এক পেগ করে ওয়াইন খাওয়া যায় তবে শরীর অনেক তরতাজা থাকবে। তবে পরিমিতই খেতে হবে।