কী কী লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
কিডনির রোগে ভুগতে পারে শিশুরাও। কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। বিশেষত ছোটদেরও যে কিডনির অসুখ হতে পারে সে নিয়ে ধারণা না থাকায়, কিছু উপসর্গ দেখা দিলেও তা এড়িয়ে যান অভিভাবকেরা। ফলে পরবর্তী কালে সমস্যা বড় হয়ে দেখা দেয়। সামান্য সচেতনতা ও যত্নেই কিডনির দুরারোগ্য ব্যাধি ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
কী কী লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
১) ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
২) প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ
৩) ৬ বছরের বেশি বয়সেও বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলা
৪) তলপেটে ব্যথা, ঘন ঘন বমি, কোমরে ব্যথা
৫) পেট ফুলে যাওয়া, খিদে কম, প্রচণ্ড দুর্বলতা
৬) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেবে
শিশুদের কিডনিতে সমস্যা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। ডায়াপার থেকে প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। অনেক সময়ে ছোটরা প্রস্রাব চেপে থাকে। দিনের পর দিন এমন হলে মূত্রথলিতে চাপ পড়ে। তার থেকে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেয়েদের প্রস্রাবের জায়গায় সংক্রমণ বেশি হয়। যদি বার বার মূত্রনালির সংক্রমণ হয় তার থেকেও কিডনির রোগ হতে পারে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের পর্যাপ্ত জল খাওয়াতে হবে। জলের অভাব হলে কিডনিতে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। শিশু যাতে প্রস্রাব চেপে না রাখে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের। স্কুলে যাচ্ছে যে শিশুরা, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশি। তেমন হলে শিক্ষক বা শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে হবে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। এর জন্য শিশুর খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন। বাইরের খাবার, ভাজাভুজি বন্ধ করতে হবে। ঘরে তৈরি হালকা খাবারই খাওয়াতে হবে শিশুকে। পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চা করাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধ শিশুকে খাওয়ানো যাবে না।