মানসিক চাপ থেকেও অম্বল হতে পারে? ছবি- সংগৃহীত
কবাব, বিরিয়ানি, চাঁপ, তার পর চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি দই বা বেকড মিহিদানা। খাবারের তালিকা থেকে কোনটাই বাদ পড়েনি। একটু একটু করে সবটাই নাকের দু-আঙুল নিচে দিয়ে মুখগহ্বরে প্রবেশ করেছে। কিন্তু সমস্যা শুরু হয়েছে তার পর থেকেই। সারা রাত ঘুম হয়নি। এ পাশ-ও পাশ করেই কাটাতে হয়েছে। সঙ্গে গলা-বুক জ্বালা। এমন সমস্যা থেকে তৎক্ষণাৎ মুক্তি পেতে অনেকেই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধের উপর ভরসা করেন। আবার ভরপেট খাওয়া হয়ে গেলে, আরাম পেতে অনেকেই ঠান্ডা নরম পানীয়ও খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধ নয়, জীবনযাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কোন কোন পরিবর্তনে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?
১) খাবার অভ্যাসে পরিবর্তন
যদি কারও হজমের সমস্যা থাকে, তা হলে খাওয়ার রুটিনে ঘন ঘন পরিবর্তন না আনাই ভাল। এ ছাড়াও খাওয়ার পর বসে বা শুয়ে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারলেও ভাল। খুব ভাল হয় যদি ঘুমোতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে খেতে নিতে পারেন।
২) নরম পানীয় খাবেন না
গলা-বুক জ্বালা করলেই ঠান্ডা পানীয় খেলে ফেলা একেবারেই অনুচিত। কারণ, এই জাতীয় পানীয় খেলে ঢেকুর তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিড মুখে উঠে আসতে পারে। বমি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৩) ঘুমের অভ্যাস
বালিশ ছাড়া ঘুমোনোর অভ্যাস? এই অভ্যাস কিন্তু অম্বলের একটি কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শোয়ার সময় পা এবং মাথা যেন একই সরলরেখায় না থাকে। মাথার দিক একটু উঁচুতে রাখতেই পরামর্শ দেন তাঁরা।
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণ
দেহের ওজন বেশি থাকলেও হজমের সমস্যা হতে পারে। বয়স অনুযায়ী ওজন কেমন হওয়া উচিত, তা বুঝেই খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চা করলেই অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৫) মানসিক চাপ
ঘরে-বাইরে নানা কাজের মধ্যে বাড়তে থাকা মানসিক চাপও হজমের গন্ডগোল ঘটাতে পারে। তার উপর যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা হলে তো সোনায় সোহাগা! মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রাণায়াম, হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। আবার ঘর অন্ধকার করে বেশ কিছু ক্ষণ হালকা কোনও গান বা যন্ত্রসঙ্গীতও শুনতে পারেন।