রান্নায় তিনটি পরিবর্তন আনলে ওজন কমবেই। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানো যে মুখের কথা নয়, দীর্ঘ পরিশ্রম শেষে ব্যর্থ হওয়ার পরে তা বুঝেছেন অনেকেই। শরীরচর্চা থেকে কড়া ডায়েট— রোগা হওয়ার অন্যতম উপায় এগুলিই। রোগা হওয়ার এই পথ ধরে যে কেউ হাঁটেন না, এমন নয়। কিন্তু তার পরেও কোনও লাভ হয় না। ওজন যে কে সেই থাকে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, অনেকেরই ধারণা দিনরাত শরীরচর্চা করলেই বোধহয় দ্রুত ঝরবে ওজন। এ ধারণা যে ভুল, তা বার বারই মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। শরীরচর্চার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। সেই সঙ্গে নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়াতেও। স্বাস্থ্যকর খাবার ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে সাহায্য করে। সহজেই ওজন কমানো সম্ভব হয়। ওজন কমানোর পর্বে কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল কতটা খাচ্ছেন। রোগা হওয়ার পর্বে পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তবে কম পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। রান্নায় তিনটি পরিবর্তন আনুন। দেখবেন কয়েক দিনেই ওজন কমছে।
১) রোগা হওয়ার ডায়েটে রাখতে হবে শাকসব্জি। তবে সব্জি কাটার সময় খোসা ফেলে দেবেন না। কারণ খোসায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। সঙ্গে ভরপুর পরিমাণে পুষ্টিও মেলে। যা ওজন কমাতে সহায়ক।
২) মশলাদার রান্না একেবারেই পছন্দ করেন না। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ওজন কমাতে চাইলে রান্নায় কালোজিরে কিংবা গোলমরিচ দিতে পারেন রান্নায়। এই মশলাগুলিতে নানা খনিজ পদার্থ থাকে। যেগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ধনেপাতা, কারিপাতা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন।
৩) সব্জিগুলি বড় বড় করে কাটুন। ছোট ছোট টুকরো করলে তেল বেশি শুষে নেয়। ফলে সব্জির মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত তেল প্রবেশ করে। এতে সব্জি খেয়ে কোনও কোনও লাভ হয় না। তার চেয়ে সব্জি বড় বড় টুকরো করে কাটুন। এতে বেশি তেল শোষণ করতে পারে না।