Glucoma

গ্লকোমা সচেতনতায় জিনের স্ক্রিনিং, প্রচারে তথ্যচিত্র

পরিবারের সকলেই গ্লকোমায় অন্ধ হলেও রোগ ছিল না বড় ছেলের। কিন্তু তাঁকে নিয়েও উদ্বেগে থাকতেন মা। শেষে এক গবেষকের সহযোগিতায় গোটা পরিবারের জিন পরীক্ষা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ০৭:১২
An image of eye checkup

জিনের পরীক্ষাতেই বোঝা সম্ভব গ্লকোমায় আক্রান্তের ঝুঁকি কতটা। প্রতীকী ছবি।

জিনের পরীক্ষাতেই বোঝা সম্ভব গ্লকোমায় আক্রান্তের ঝুঁকি কতটা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বংশগত এই চোখের অসুখ সম্পর্কে আগামজানতে পারলে চিকিৎসাও সম্ভব। তাতে পুরো অন্ধত্বের শিকার হতে হয় না। ওই রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ম্যাঞ্চেস্টারের সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযোজনায় তৈরি হল ২৬ মিনিটের তথ্যচিত্র— ‘ভিশন অব দ্য ব্লাইন্ড লেডি’।

পরিবারের সকলেই গ্লকোমায় অন্ধ হলেও রোগ ছিল না বড় ছেলের। কিন্তু তাঁকে নিয়েও উদ্বেগে থাকতেন মা। শেষে এক গবেষকের সহযোগিতায় গোটা পরিবারের জিন পরীক্ষা হয়। জানা যায়, জিনের যে মিউটেশন গ্লকোমার কারণ, তা বড় ছেলের শরীরে নেই। ওই তথ্যচিত্রের পরিচালক রুম্পা গুঁই ও শুভব্রত দে।

Advertisement

২০০১-০৫ সাল পর্যন্ত ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি’র তৎকালীন গবেষক কুণাল রায়ের তত্ত্বাবধানে জিনগত গ্লকোমা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়। অরিজিৎ ও কুণাল জানাচ্ছেন, পরিবারে কেউ গ্লকোমায় আক্রান্ত হলে অন্যদেরও জিনের স্ক্রিনিং জরুরি। কুণাল বলেন, ‘‘যে কোনও জিনগত রোগ বোঝা সম্ভব জেনেটিক স্ক্রিনিংয়ে। তথ্যচিত্রটি সেই সচেতনতার প্রচার করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement