পুষ্টিবিদরা বলেন, তরমুজের এই দানার নাকি পুষ্টিগুণ কম নয়। ছবি- সংগৃহীত
গরম পড়েছে জাঁকিয়ে। শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই তাই ভরসা রাখছেন বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন ফলের উপর। শরীর আর্দ্র রাখতে প্রয়োজন পড়ে জল এবং বিভিন্ন সরস ফলের। এই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে আসে তরমুজের নাম। তরমুজে রয়েছে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান যা শরীরের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু তরমুজের মধ্যে যে কালো রঙের ছোট ছোট বীজ থাকে, সেগুলি নিশ্চয়ই ফেলে দেন? আবার খেতে গিয়ে ভুল করে তরমুজের বীজ পেটে চলে গেলে অনেকেই ভাবেন, বোধ হয় পেট ব্যথা হবে। কিন্তু নিরামিষ রান্নায় বা তরিতরকারিতে মশলা হিসাবে অনেকেই চারমগজ ব্যবহার করেন। এই চারমগজ যে আসলে তরমুজের বীজ, তা জানেনই না অনেকে। পুষ্টিবিদরা বলেন, তরমুজের এই দানার নাকি পুষ্টিগুণ কম নয়। তরমুজের বীজে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সুস্থ থাকতে সারা দিনে যে পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়, তার ৬০ শতাংশই মিলতে পারে এক কাপ তরমুজের বীজ থেকে।
এ ছা়ড়া তরমুজের বীজ শরীরের আর কোন উপকারে লাগতে পারে?
১) হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
রক্তে থাকা ‘এলডিএল’ কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তরমুজের বীজে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ তরমুজের বীজ।
২) প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করে
বিভিন্ন মরসুমি রোগ থেকে বাঁচতে, শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে তরমুজের বীজ। কারণ, এই বীজে রয়েছে জিঙ্ক। তরমুজের দানা হল জিঙ্কের প্রাকৃতিক উৎস।
৩) হজমে সহায়তা করে
তরমুজের বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। পরিপাকতন্ত্র ভাল থাকলে হজমের সমস্যাও থাকে না।
৪) চুল এবং ত্বক ভাল রাখে
প্রোটিনের পাশাপাশি তরমুজের বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ত্বকে কোনও প্রদাহ হলে তা-ও কমাতে সাহায্য করে।
৫) হাড় মজবুত করে
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে ক্যালশিয়াম ছাড়াও বেশ কিছু খনিজের প্রয়োজন হয়, এই খনিজগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে তরমুজের বীজে। শুধু হাড় নয়, পেশির গঠনেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই খনিজগুলি।