Diabetes and Itching

সব ধরনের চুলকানি কিন্তু অ্যালার্জি নয়! ত্বকের এই অস্বস্তির ‘খলনায়ক’ ডায়াবিটিস হতে পারে

যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সঙ্গে ঘর করছেন, ত্বকে চুলকানি বা র‌্যাশজনিত সমস্যা তাঁদের কাছে খুবই সাধারণ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ১১:১৮
All you need to know about the relation between itching and diabetes

ছবি: সংগৃহীত।

ডিম, বেগুন, চিংড়ি মাছ খেলে ত্বকে অ্যালার্জি হয়। কিন্তু তেমন কিছু খাননি। তা সত্ত্বেও সারা ক্ষণ গায়ে কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি বা ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’ থাকলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অকারণে ত্বকে চুলকানি বা র‌্যাশ বেরোতে দেখলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সঙ্গে ঘর করছেন, ত্বকে চুলকানির লক্ষণ তাঁদের কাছে খুবই সাধারণ। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের দেওয়া তথ্য বলছে, প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন ডায়াবিটিস রোগীর ত্বকে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ডায়াবিটিস বা ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’ থাকলে ঘাড়, কনুই কালো হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকান্‌স’ বলা হয়।

ডায়াবিটিসের সঙ্গে চুলকানির যোগ কোথায়?

১) দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস রয়েছে যাঁদের, তাঁরা প্রায় সকলেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, ডায়াবিটিস থাকলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। চুলকানির মতো ত্বকের নানা ধরনের অস্বস্তি বাড়তে থাকে।

২) অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস থাকলে অনেক সময়ে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যা ‘ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি’ নামে পরিচিত।

৩) রক্তে গ্লুকোজ়ের পরিমাণ বেশি থাকলে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে। সেখান থেকে ত্বকে চুলকানি বা অস্বস্তি হতে পারে। বার বার যৌনাঙ্গে সংক্রমণের নেপথ্যেও কিন্তু ডায়াবিটিসের ভূমিকা থাকতে পারে।

ডায়াবিটিসজনিত চুলকানির সমস্যা নিরাময়ে কী কী করবেন?

সব সময়ে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। ত্বকের শুষ্ক ভাব কাটিয়ে ফেলতে পারলে এই ধরনের অস্বস্তি অনেকটা কমে যাবে। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন’–এর দেওয়া তথ্য বলছে, স্পর্শকাতর ত্বকে ডিয়োডোর‌্যান্ট, ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলেও কিন্তু অস্বস্তি বাড়তে পারে। তাই এই ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ। পাশাপাশি, অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার না করতে পারলেই ভাল। গরম জল ব্যবহারেও কিন্তু ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাধারণ কিছু শরীরচর্চা করলেও উপকার মিলবে।

Advertisement
আরও পড়ুন