আমের আঁটি দিয়ে বানিয়ে নিন ‘ম্যাঙ্গো বডি বাটার’। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক ভীষণ শুষ্ক। সারা বছরই গোটা শরীরে ক্রিম, লোশন মাখতে পারলে ভাল হয়। গরমকালে যে ময়েশ্চারাইজ়ারটি মাখেন, সেটি প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তাই অনলাইনে ভাল মানের একটি ‘বডি লোশন’ কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাজার রকমের ক্রিম, লোশন দেখেশুনে কোনও একটিকে পছন্দ করতে পারেননি। উল্টে পড়েছেন মহা বিপদে! সেখানে ‘বডি বাটার’ বলে একটি প্রসাধনীর আবির্ভাব ঘটেছে। হয়তো খুব সম্প্রতি নয়। এ জিনিস আগেও ছিল। কিন্তু, চোখে পড়েনি। মাখন তো এত দিন পাউরুটির গায়েই মাখিয়ে এসেছেন। কিন্তু ইন্টারনেট ঘেঁটে জানতে পেরেছেন এই ‘মাখন’টি মানুষের গায়ে মাখার বস্তু। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের জন্য ক্রিম বা লোশনের চাইতে ভাল বডি বাটার। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সারা বছরই মাখা যায়। র্যাশ কিংবা অ্যালার্জিপ্রবণ, খসখসে, বলিরেখা-যুক্ত ত্বকের জন্য এই বডি বাটার অতুলনীয়।
অনলাইনে বডি বাটার কিনবেন, না কি পুরনো প্রসাধনীর উপরেই ভরসা রাখবেন, ভাবতে ভাবতেই চোখে পড়ল আরও একটি জিনিস। নেটপ্রভাবী স্নেহা সিঙ্ঘি উপাধ্যায় বলছেন, ফেলে দেওয়া আমের আঁটি এবং নারকেল তেল, মাত্র এই দু’টি উপকরণ দিয়ে বডি বাটার বাড়িতেও তৈরি করে ফেলা যায়। কী ভাবে?
বাড়িতে ‘বডি বাটার’ তৈরি করতে কী কী লাগবে?
উপকরণ
২টি আমের আঁটি
আধ কাপ নারকেল তেল
পদ্ধতি
প্রথমে আমের আঁটিগুলি ভাল করে জলে ধুয়ে নিন।
তার পর আঁটির উপর থেকে খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন।
ভিতরে বাদামের মতো একটি অংশ থাকে, সেটিকে ছোট ছোট করে কেটে ফেলুন।
কড়াইতে নারকেল তেল এবং ওই বাদামের মতো অংশটি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তবে, আঁচ একেবারে হালকা রাখতে হবে।
ফুটতে ফুটতে তেলের রং বদলে যাবে। তেলের রং বদলাতে দেখলেই গ্যাস বন্ধ করে দিন।
এ বার তেল একেবারে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
তেল মাখতে পছন্দ করলে এই অবস্থাতেই মাখতে পারেন। না হলে ‘হ্যান্ড ব্লেন্ডার’ বা হুইপ মেশিন দিয়ে ফেটাতে থাকুন। ফেটাতে ফেটাতে তেল ঘন হয়ে ফুলেফেঁপে উঠলেই বুঝতে পারবেন, ‘বডি বাটার’ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
এ বার পরিষ্কার কাচের পাত্রে সেই ‘বাটার’ ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। বহু দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।