জিভের কোন রং কিসের ইঙ্গিত দেয়? ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণ জ্বর-জ্বালা হোক বা কঠিন কোনও রোগ, চিকিৎসকের কাছে গেলে জিভ দেখাতেই হবে। কারণ, যে কোনও রোগের লক্ষণ ফুটে ওঠে ওই ইন্দ্রিয়ে। সকাল-বিকাল দাঁত মাজার সময়ে জিভ পরিষ্কার করলেও, সেই লক্ষণ ঠিক ফুটে উঠবে। চিকিৎসকদের মতে, মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করলেও কিন্তু জিভের উপর সাদা স্তর পড়ে। এ ছাড়া কিছু রোগের ক্ষেত্রেও জিভে দেখেই যাচাই করেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন, কখন সাবধান হবেন।
১) জিভের রং যদি হঠাৎ কালচে হয়ে যায়, তা হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গির আক্রমণে জিভের রং বদলে যেতে পারে। তবে, জিভের রং কালচে হয়ে যাওয়া কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ। তাই এমন কোনও উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২) মুখের ভিতর নানা ধরনের ছত্রাক বসবাস করে। তার মধ্যে একটি হল ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’। এই ছত্রাকটি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিভে সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে 'ওরাল থ্রাশ'। সাধারণত গুরুতর সমস্যা না হলেও ওরাল থ্রাশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই সমস্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে অন্য কোনও গভীর সমস্যাও।
৩) হজম সংক্রান্ত সমস্যা হলে জিভের রং হলদেটে হয়ে যেতে পারে। মূলত অন্ত্রের মধ্যে থাকা ‘খারাপ’ ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হলে হজমের গোলমাল হতে দেখা যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, লিভার কিংবা পাকস্থলীর সমস্যা হলেও জিভের রং হলদেটে হয়ে যেতে পারে।
৪) জিভের রং হঠাৎ নীলচে বা বেগনি হয়ে গেলে বুঝতে হবে, শরীরে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। এ ছাড়া, শ্বাসযন্ত্র কিংবা কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলেও জিভের রং নীল হয়ে যেতে পারে।
৫) জিভের রং একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেলে তা রক্তে আয়রনের অভাবকেই ইঙ্গিত করে। আবার জিভের উপর লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ অটোইমিউন রোগের ইঙ্গিতও বহন করে।