ঋতুস্রাবের সময় যে ব্যথা হয়, তা থেকে দূরে থাকতে কিছু যোগাসনের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
মাসের কয়েকটি দিন অস্বস্তিতে কাটে মেয়েদের। ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা আর শারীরিক নানা সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়। পেটে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খাওয়ার প্রতি অনীহা লেগেই থাকে। হাঁটাচলা করতেও অসুবিধা হয়। দৈনন্দিন কাজেও প্রভাব পড়ে তার। ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা এড়াতে অনেকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলেন। তাতেও কি সুফল মেলে? অনেকেরই উত্তর নেতিবাচকই হবে। সম্প্রতি বলিপাড়ার জনপ্রিয় ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুষ্কা পারওয়ানি এর একটি সহজ সমাধান দিয়েছেন। আলিয়া ভট্ট এবং করিনা কপূরের ফিটনেসের প্রশিক্ষণ দেন তিনি।
অনুষ্কার মতে, ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। আসলে এই সমস্যার কোনও চটজলদি সমাধান নেই। রোজের কিছু কিছু অভ্যাসেই ব্যথা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তার মধ্যে অন্যতম হল শরীরচর্চা। ব্যায়াম করলে যে শুধু ওজন কমে, তা নয়। ঋতুস্রাবের সময় যে ব্যথা হয়, তা থেকে দূরে থাকতে কিছু যোগাসনের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। অনেকেই এই ব্যথা দূর করতে শরীরচর্চা করেন। তবে ঠিক কোনগুলি করলে কাজ হবে, সেটা অনেকেরই জানা নেই। অনুষ্কা নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো করে সেগুলির সন্ধান দিয়েছেন।
বালাসন
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা বেঁকান। শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান, যাতে বুক ঊরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা গদির উপরে রেখে হাত দুটো সামনের দিকে প্রসারিত করুন।
ধনুরাসন
প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক, হাঁটু ও ঊরু উঠে আসবে। পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান।
পশ্চিমোত্তাসন
প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক ঊরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।