সমালোচনার মুখে ‘কার কাছে কই মনের কথা’। ছবি: সংগৃহীত।
জি বাংলার অন্যতম একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’। এই সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন মানালি দে। মানালির চরিত্রের নাম ‘শিমুল’। কাহিনি অনুযায়ী, স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরেও শাশুড়ি এবং মানসিক ভারসাম্যহীন ননদের দেখাশোনার জন্য শ্বশুরবাড়িতে থাকে সে। সিরিয়ালে দেখানো হয়েছিল, স্বামী পরাগকে বিষ দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে জেলে যেতে হয়েছে শিমুলকে। তবে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে সসম্মানে আবার ফিরেও এসেছে শিমুল। বাড়ি ফিরেই ননদ পুতুলের বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।
সিরিয়ালের নিয়মিত দর্শকেরা অবগত যে, পুতুলের বিয়ের কথা হচ্ছে তারই শিক্ষক তীর্থের সঙ্গে। পেশায় অভিনেতা তীর্থ নিজেই পুতুলকে বিয়ে করতে চেয়েছে। কিন্তু তীর্থের এই বিয়ের ইচ্ছায় বাদ সাধছে তার বৌদি। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন অঙ্কিতা পাল। কিন্তু দেওরের বিয়েতে বৌদি কেন বাধা দিচ্ছে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। অনেকেরই অবশ্য অনুমান, দেওরকে আঁচলে বেঁধে রাখতে চাইছে বৌদি। সেই কারণেই দেওরকে বিয়ে দিতে চাইছে না। তবে গোটাটাই যে অনুমান, তা নয়। কারণ সিরিয়ালের একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছে তীর্থের বৌদি এমন কিছু কথা বলেছে, যা থেকে ইঙ্গিত মেলে, দেওরের প্রতি সে অনুরক্ত।
তার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বাংলা ধারাবাহিকে এ ধরনের গল্প আকছার দেখানো হয়। সে সব নিয়ে সমালোচনা, বিতর্কও কম হয় না। ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালের কিছু পর্ব নিয়ে এর আগেও সমালোচনা হয়েছে। ছেলের ফুলশয্যার খাটে বৌমাকে সরিয়ে মায়ের রাত্রিযাপনের দৃশ্য নিয়ে কম হইচই হয়নি। ফের অন্য একটি কারণে সমালোচনার মুখে ‘কার কথা কই মনের কথা।’