সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
এই মুহূর্তে মুম্বই বান্দ্রা এলাকায় ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট’-এর দিকে নজর অনেকেরই। সেখানেই বাস অভিনেতা সলমন খানের। রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অভিনেতার বাড়ির সামনে চলেছিল চার রাউন্ড গুলি। একটি এসে লাগে অভিনেতার জানলার পাশের দেওয়ালে। তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। মন্ত্রী থেকে বিধায়কদের আনাগোনা সলমনের বাড়িতে। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। তারা শুধু ঘটনার দায় স্বীকারই করেনি, সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে অভিনেতাকে। এ বার সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে এল অভিযুক্তের পরিচয়। পরনে কালো জ্যাকেট, মাথায় টুপি, চাপদাড়ি। নাম বিশাল ওরফে কালু। বাইকে চেপে গুলি ছুড়ে চম্পট দেন এই ব্যক্তি।
বিশাল গুরুগ্রামের বাসিন্দা। জেলখাটা আসামি। ২০২০ সালে প্রথম বার পুলিশের খপ্পরে পড়েন তিনি। মোটার বাইক চুরির অভিযোগে তিহাড়ে বন্দি ছিলেন বিশাল। তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পাশপাশি, রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন। গত বছর গুরুগ্রামে দুই বুকিকে খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তাঁর। এ বার সলমন বাড়িতে গুলি চালিয়ে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে এলেন এই ব্যক্তি।
এই মুহূর্তে জেলবন্দি গ্যাং-প্রধান লরেন্স বিষ্ণোই। গোটা ঘটনার ১২ ঘণ্টা কাটার আগেই সমাজমাধ্যমের পাতায় হুমকি পোস্ট দেন লরেন্সের ভাই আনমোল বিষ্ণোই। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমদের উপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তা-ই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সলমন খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কত দূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এর পর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না… দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দু’জনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দু’টি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রীরাম।’’ তবে গোটা ঘটনায় মোটেই বিচলিত নন সলমন কিংবা তাঁর বাবা সেলিম খান। ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন, খান পরিবার যে এই ঘটনায় ভয় পেয়েছে তেমন নয়। বরং, সব কিছু স্বাভাবিকই রয়েছে তাঁদের অন্দরে।