(বাঁ দিকে) সলমন খান লরেন্স বিষ্ণোই (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেন দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তার পর থেকেই হইহই রব বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে বেলা বাড়তেই এল হুমকি চিঠি। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল বিষ্ণোই গ্যাং। তারা শুধু ঘটনার দায় স্বীকারই করেনি, সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে অভিনেতাকে।
গত বছর থেকেই ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সলমন খান। লরেন্স বিষ্ণোই এই গ্যাংয়ের মাথা। তিনি এর আগেই সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই । এ বার সমাজমাধ্যমের পাতায় হুমকি পোস্ট দিলেন তাঁর ভাই আনমোল বিষ্ণোই। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমদের উপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তা-ই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সলমন খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কত দূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এর পর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না… দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দু’জনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দু’টি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রীরাম।’’
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকাণ্ডে সলমনের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ সলমনকে খুনের হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘খতম তালিকা’য় রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সলমনের নাম। তার পর থেকেই সলমনকে নানা ভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই গ্যাংস্টার। এ বার প্রায় অভিনেতার বাড়িতে হামলা করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তাঁরা।