শরিফুল রাজ-পরীমণি। —ফাইল চিত্র।
পরীমণি আর শরিফুল রাজের বিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। এত দিন শোনা গিয়েছিল ২০২২ সালে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তবে ডিভোর্সের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। কিন্তু কোন পাঁচ কারণে আইনি বিচ্ছেদের নোটিস পাঠাতে বাধ্য হলেন নায়িকা? বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী সেই পাঁচ কারণ হল—
১। দু’জনের মধ্যে একদমই মিল হচ্ছিল না। মনের অমিল ছিল।
২। কারণ হিসাবে নায়িকার দাবি, রাজ কোনও খোঁজ খবরই রাখতেন না তাঁদের।
৩। এ ছাড়াও ডিভোর্সের কারণ হিসাবে পরী দেখিয়েছেন, তা হল কোনও বনিবনা ছিল না।
৪। মানসিক অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল।
৫। অন্য নারীদের প্রতি রাজের আসক্তি ছিল।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশ্যে আসে রাজ এবং পরীর সম্পর্কের কথা। কিন্তু তারও বেশ কয়েক মাস আগে বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। পরীর পক্ষে থেকে পাঠানো ডিভোর্সের নোটিস ঘেঁটে দেখা গিয়েছে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ১০১ টাকা দেনমোহরে ঘরোয়া ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাঁদের। বিয়ের ১০ মাসের মাথায়ই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পরী। ছেলে হওয়ার পর থেকে নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে শুরু হয় সমস্যা। তাঁদের দাম্পত্য কলহ আসে প্রকাশ্যে। যদিও গত কাল বিকাল পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তাঁরা দু’জনেই। বুধবার অনেক রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছেদের কথা ফেসবুকে ঘোষণা করেন নায়িকা।
তিনি লেখেন, “আমি তাঁকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি।” একই সঙ্গে ছেলের সব দায়িত্ব যে শুধুই তাঁর সে কথাও স্পষ্ট করেন অভিনেত্রী। লেখেন, “আমার ছেলের যাবতীয় খরচ অর্থাৎ ভরণপোষণ, আগামীতে পড়াশোনা সব কিছুর দায়িত্ব আমি বহন করব।” যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত রাজের তরফ থেকে মেলেনি কোনও মন্তব্য। এত কিছুর পর রাজ-পরীমণি বিতর্ক কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার অপেক্ষা।