আসছে নতুন কিছুও?
আছি, মরিনি। সাড়া দিল কার্টুন নেটওয়ার্ক। বিশ্বজোড়া অনুরাগীদের মনখারাপের মাঝে এটুকু আশ্বাসই হয়তো যথেষ্ট ছিল। শুধু তা-ই নয়, কিছু সুসংবাদও ভাগ করে নিল ‘মরতে বসা’ চ্যানেল। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মতো দানবকায় সংস্থার সঙ্গে আশৈশব সঙ্গী কার্টুন নেটওয়ার্ককে মিশে যেতে দেখে মুষড়ে পড়েছিলেন এক গোটা প্রজন্মের মানুষ, যাঁরা এখন তিরিশে পা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিরিশে পড়ল চ্যানেলটিও।
নব্বইয়ের শিশুরা ছাড়া কার্টুন নেটওয়ার্কের মাহাত্ম্য তেমন কে-ই বা বুঝবেন! এ যেন তাঁদেরই একচেটিয়া অধিকার। কল্পনায় ভরা শৈশবের অধিকার। সেটুকু ছিনিয়ে নিলে তাঁরা যে ভেঙে পড়বেন, সেটাই স্বাভাবিক।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছিল মঙ্গলবার। ৩০ বছর পর কার্টুন নেটওয়ার্ক বন্ধ হচ্ছে। ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে নিচ্ছে চ্যানেল। শোনামাত্র নেটদুনিয়া ছেয়ে গিয়েছিল হৃদয়বিদারক পোস্টে। যেন প্রিয় বন্ধুকে সমাধিস্থ করা হচ্ছে, এমন ভাবেই একটি চ্যানেলকে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্ববাসী। তাঁরা বেশির ভাগই নব্বইয়ের দশকের শিশু। যাঁরা আজও কোন সময় কোন কার্টুন হত, মুখস্থ বলে দিতে পারবেন, গল্পসমেত।এত দিনের নস্টালজিয়া, ছোটবেলা জড়িয়ে যেখানে, তার হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউ। সেই পরিস্থতিতে কার্টুন নেটওয়ার্ক-এর তরফে টুইট করা হল শনিবার, “তোমাদের সবাইকে বলছি, আমরা মরিনি। আমরা শুধু ৩০ বছর পূর্ণ করলাম। অনুরাগীদের বলছি, আমরা কোথাও যাচ্ছি না। যেমন ছিলাম তেমনই তোমাদের বাড়িতে থাকব। তোমাদের ভালবাসায় আরও কিছু উদ্ভাবনী কার্টুন নিয়ে আসব।”
To everyone at cartoon network, thank you for 30 years of great storytelling and characters.
— Kren (@KrensThighHighs) October 12, 2022
You will be missed, RIP Cartoon Network.#FireDavidZaslav pic.twitter.com/bPARfyty61
অন্য দিকে, একীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স টেলিভিশন ২৬ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে কার্টুন নেটওয়ার্কের। একীভূতকরণের আরও বিশদ বিবরণ কিংবা, এটি কী ভাবে আগামী দিনে কার্টুন নেটওয়ার্ক-এর কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করবে, তা এখনও জানা যায়নি।