সন্ন্যাস নিয়ে কাঁদলেন মমতা। ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন মমতা কুলকার্নি। এক সময়ে অক্ষয় কুমার, আমির খান, সলমন খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। এ বার তিনি সন্ন্যাসের পথে। শুক্রবার মহাকুম্ভে সন্ন্যাস নিয়েছেন ৯০ দশকের সাহসী অভিনেত্রী। বদলে গিয়েছে তাঁর নামও। শুক্রবার মমতা কুলকার্নি থেকে তিনি হয়েছেন— শ্রী মাই মমতা নন্দ গিরি।
মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়ায় ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তিনি। পিণ্ডদানের রীতিও পালন করেন তিনি। সন্ন্যাস নেওয়ার প্রক্রিয়ার সময়ে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন মমতা। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। গেরুয়া বস্ত্র, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ও এলোচুল, কপালে তিলক। এই ভাবেই বসেছিলেন তিনি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে। মন্ত্রপাঠের সঙ্গে চলছিল সন্ন্যাসধারণের প্রক্রিয়া। সেই মুহূর্তে কেঁদে ফেলেন মমতা। তাঁর গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় এক নতুন মালা। উপস্থিত সন্ন্যাসিনীরা তাঁর মাথায় ঢেলে দেন দুধ। দুধস্নানের পরে আরও এক গেরুয়া বস্ত্রে মুড়ে দেওয়া হয় মমতাকে। একে এক সবাই ফুলের মালা পরিয়ে দেন তাঁকে। সেই মুহূর্তে যেন স্তম্ভিত হয়ে যান অভিনেত্রী। কিন্তু বাধ মানে না চোখের জল।
এই ভিডিয়ো দেখে অবাক মমতার অনুরাগীরাও। এ দিন কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর, অর্থাৎ লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও জুনা আখড়ার আচার্য স্বামী জয় অম্বানন্দ গিরির সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। সে সব মুহূর্তের ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
‘কর্ণ অর্জুন’, ‘চায়না গেট’, ‘তিরঙ্গা’, ‘আশিক আওয়ারা’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘বাজ়ি’, ‘সবসে বড়া খিলাড়ি’, ‘পুলিশওয়ালা গুন্ডা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন মমতা কুলকার্নি। বিতর্কেও জড়িয়েছেন একাধিক বার। কেনিয়ায় মাদকযোগে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। অবশেষে ছাড়পত্র পেয়ে ২৫ বছর পরে দেশে ফেরেন তিনি।