Illegal Immigrants in USA

অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে আমেরিকার দুই শহরের বহু গুরুদ্বারে হানা দিল ট্রাম্পের পুলিশ

ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে। একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে সে দেশের শিখ সংগঠনগুলিও। তাদের দাবি, এতে শিখদের ধর্মীয় স্থানের পরিত্রাতা নষ্ট হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৭
আমেরিকায় চলছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়।

আমেরিকায় চলছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সে দেশে শুরু গিয়েছে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর প্রক্রিয়া! সেই আবহে এ বার নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির গুরুদ্বারগুলিতে ‘অভিযান’ শুরু করল আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, বেআইনি ভাবে দেশে বসবাস করা অভিবাসীদের শনাক্ত করতেই এই ‘অভিযান’।

Advertisement

ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে। একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে সে দেশের শিখ সংগঠনগুলিও। তাদের দাবি, এতে শিখদের ধর্মীয় স্থানের পরিত্রাতা নষ্ট হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, এই এলাকার কয়েকটি গুরুদ্বার শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আখড়া হতে পারে। সেখানে সন্ধান মিলতে পারে বেশ কয়েক জন অবৈধ অভিবাসীরও। তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতেই এই অভিযান, এমনটাই যুক্তি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ডিএইচএস-র সচিব বেঞ্জামিন হুফম্যান এ বিষয়ে পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের বিধি বদলে একটি নতুন নির্দেশিকাও জারি করেছেন। এর আগে ধর্মীয় ও ‘সংবেদনশীল’ এলাকাগুলিতে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্‌স এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই) এবং ‘কাস্টম্‌স অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন’ (সিবিপি)- এর প্রবেশের কোনও এক্তিয়ার ছিল না। সেই নীতি বদলে এখন থেকে সিবিপি এবং আইসিই-কে ধর্মস্থানগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালানোয় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর পরেই মুখ খুলেছে নানা শিখ সংগঠন। শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড (এসএএলডিএফ)-এর নির্বাহী কর্তা কিরণ কৌর গিল বলেন, ‘‘ডিএইচএস-র এই নতুন নিয়ম অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যে ভাবে গুরুদ্বারের মতো পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে, তাতে আমরা নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত। এতে ধর্মস্থানের পবিত্রতাও নষ্ট হচ্ছে।’’

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের নজর রয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের উপর। চুরি-ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় করতে ‘লেকেন রিলে অ্যাক্ট’ নামে একটি নতুন আইন আনার পথে এগোচ্ছে আমেরিকা। সেনেটে এ সংক্রান্ত বিল পাশও হয়ে গিয়েছে। এই বিল অনুযায়ী, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট বা দোকান থেকে জিনিসপত্র হাতানোর মতো ঘটনায় অভিযুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে পারবে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম্‌স এনফোর্সমেন্ট’। ট্রাম্প মসনদে বসার তিন দিনের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম ধাপে গত শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে। শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়াও। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিটের সাফাই, ধৃতেরা সকলেই নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন