Bunkers Found in Nadia

লাল্টু মহারাজের বাঙ্কারের হদিস মেলার পর থেকেই এলাকায় ঘুরঘুর! দুই রোহিঙ্গা যুবক ধৃত নদিয়ায়

পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের নাম মহম্মদ যাদব এবং মহম্মদ নূর। এক বছর আগে তাঁরা অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। এর পরেই তাঁরা হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন কাজের উদ্দেশ্যে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৭
মাটির নীচে মাদকভর্তি বাঙ্কারে তল্লাশি অভিযানে বিএসএফ।

মাটির নীচে মাদকভর্তি বাঙ্কারে তল্লাশি অভিযানে বিএসএফ। —ফাইল ছবি।

নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাটির নীচে লুকোনো চার বাঙ্কার থেকে বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার করেছে বিএসএফ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় স্থানীয় লাল্টু মহারাজের দুই বিঘা জমিতে সেই বাঙ্কারের হদিস মেলার পর থেকেই তাঁদের এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল। এক-দু’দিন ধরেই তা লক্ষ করেছে পুলিশ। সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে রবিবার ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই যুবক রোহিঙ্গা। মাদকভর্তি বাঙ্কার-রহস্যে তাঁরাও জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের নাম মহম্মদ যাদব এবং মহম্মদ নূর। এক বছর আগে তাঁরা অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। এর পরেই তাঁরা হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন কাজের উদ্দেশ্যে। এ বার তাঁরা বাংলাদেশে পালানোর ছক কষছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে দাবি, ধৃতেরা জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত মায়ানমারের বাসিন্দা। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে কিছু দিন ছিলেন। তাঁরা ভারতে এসেছিলেন গত বছর। বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত পেরিয়ে ও পারে যেতে চাইছেন তাঁরা। এর জন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগও হয়েছিল। তার মধ্যেই রবিবার রাতে ভজনঘাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানোর কথা তদন্তকারীদের।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, ‘‘দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ওঁরা মায়ানমারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ওঁদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

গত শুক্রবার বিশ্বস্ত সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর আসে, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার নঘাটা গ্রামে একটি বাগানে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার তৈরি করে কোটি কোটি টাকার মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে নির্দিষ্ট বাগানে তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাগানে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি বাঙ্কারের সন্ধান পাওয়া যায়। তল্লাশিতে মেলে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিল। শনিবার পৌনে ৩টে পর্যন্ত চলে তল্লাশি। সব মিলিয়ে খোঁজ মেলে চারটি বাঙ্কারের এবং উদ্ধার হয় ৬২,২০০ বোতল ফেনসিডিল। উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।

রবিবার ওই মাদক উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে গিয়েছিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা এনসিবি)। নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিলের সঙ্গে অন্য কোনও মাদক মেশানো রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন