—প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে ছুটি কাটাতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়লেন মাদক পাচারকারী দলের চাঁই। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাদক পাচারে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ। সংবাদমাধ্যমসূত্রে খবর, ৪৩ বছর বয়সি লুইস গ্রিজ়ালবার বিরুদ্ধে কোস্টারিকা থেকে কোকেন এনে আমেরিকায় পাচারের অভিযোগ বহু দিনের। বেশ কিছু দিন ধরেই আমেরিকার ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা ডিইএ তাঁর উপর নজর রাখছিল। এর আগে দু’বার গুপ্তহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে ফেরেন লুইস। তার পর থেকেই লুইসের স্ত্রীর সমাজমাধ্যমের পাতায় নজর রাখছিলেন ডিইএ-র গোয়েন্দারা। গ্রিজ়ালবার স্ত্রী অজ্ঞাতে নিজেদের গতিবিধি পুলিশের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরেই ধরা পড়েন ড্রাগ মাফিয়া।
স্ত্রী এস্তেফানিয়া ম্যাকডোনাল্ড রদ্রিগেজের সঙ্গে নতুন বছরে ছুটি কাটাতে ইউরোপে গিয়েছিলেন লুইস। তাঁর স্ত্রীর সমাজমাধ্যমের পোস্টগুলিতে তাঁকে আইফেল টাওয়ার এবং ট্রেভি ফাউন্টেনের মতো বিশ্বখ্যাত জায়গাগুলির সামনে দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া সমুদ্রের ধারে বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে ছুটি কাটানোর ছবিও গ্রিজ়ালবার স্ত্রী ভাগ করে নিয়েছিলেন সমাজমাধ্যমে। প্যারিস থেকে দম্পতি লন্ডনের দিকে উড়ে যান। সেখানে লন্ডন ব্রিজের কাছে দু’জনের একটি ছবি দেখে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করেন গোয়েন্দারা। নতুন বছরের ছুটি কাটানো অসমাপ্তই থেকে যায় এই দম্পতির। ২৯ ডিসেম্বর রাতে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কর্তারা লন্ডনে গ্রিজ়ালবাকে গ্রেফতার করে। তাঁর আমেরিকা প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আপাতত লন্ডনের জেলেই সময় কাটছে লুইসের। তিনি প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করবেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে।