Moushumi Chatterjee

মেয়ের মৃত্যুর জন্য তাঁর দিকেই আঙুল তুলেছিলেন জামাই, নিজেকে কী ভাবে সামলালেন মৌসুমী?

অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বাংলা এবং মুম্বইয়ে কাজ করে চলেছেন বহু বছর ধরে। শেষ ‘পিকু’ ছবিতে তাঁকে দেখেছিলেন দর্শক। অভিনেত্রী হিসাবে সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ১৩:৩১
Veteran actress Moushumi Chatterjee shares how did she cope with her daughter’s death

সন্তানকে হারানোর শোক কী ভাবে সামলেছিলেন মৌসুমী? ছবি: সংগৃহীত।

নয় নয় করে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বয়স হয়ে গেল ৫৬ বছর। সেই ১৯৬৭ সালে ‘বালিকা বধূ’ ছবির মাধ্যমে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর হাতেখড়ি। তার পর কলকাতা এবং মুম্বই মিলিয়ে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। পেশাদার হিসাবে সফল হলেও বয়সকালে যে শোক পেতে হয়েছে, সে কথাই এক সাক্ষাৎকারে বলে ফেললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ২০১৯ সালে বড় মেয়েকে হারান তিনি। সন্তানকে হারানোর থেকে বড় যন্ত্রণা আর কী হতে পারে মা-বাবার কাছে? সেই শোক সামলেছিলেন কী ভাবে অভিনেত্রী? সে কথাই বললেন মৌসুমী।

মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় মৌসুমীর বড় মেয়ে পায়েলের । ছোটবেলা থেকেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ছিলেন পায়েল। ২০১৭ সালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন মৌসুমীর জামাই ডিকি সিন্‌হা। ডিকি পেশায় এক জন পোশাক ব্যবসায়ী। ২০১৮ সালে কোমায় চলে যান পায়েল। তার পরে তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। পায়েলের চলে যাওয়ার পর মৌসুমীর দিকেই আঙুল তুলেছিলেন পায়েলের স্বামী। ডিকি অভিযোগ করেছিলেন, মা হয়েও তিনি মেয়েকে মৃত্যুকালে দেখতে আসেননি। তবে পায়েলের ছোট বোন এবং বাবা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এ প্রসঙ্গেই মৌসুমী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এত কিছুর পর আমি তা-ও সুখী। কারণ রোজই কোনও না কোনও মায়ের আঁচল খালি হচ্ছে। বিশেষ করে জওয়ানদের। সেই কথা ভেবেই রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারি। জওয়ানের মা-রা এক সন্তানের নিথর দেহ পাওয়ার পর আরও এক সন্তানকে তৈরি করে। ওদের সামনে আমাদের কষ্ট কোনও কষ্টই না। এই কারণে আমি এখনও হাসতে পারি। আমার মনে হয় আপনাকে আনন্দের কারণ হতে হবে। কারণ কষ্ট বা দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জিনিস না। আর ব্যক্তিগত কারণে আমি সবার সামনে কাঁদতেও পারি না। এ রকম শক্ত করেই আমার মা-বাবা আমায় তৈরি করেছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement