অন্যের প্রেমিকায় নজর! নিজস্ব চিত্র।
আহ্লাদে আটখানা বরুণ ধওয়ান। সদ্য মেয়ের বাবা হয়েছেন। সারা ক্ষণ আনন্দে ভাসছেন। তার আভাস তাঁর চোখেমুখেও! রবিবার তেমনই মেজাজে পাওয়া গেল নায়ককে। সকালে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন। দরজার বাইরে পা রাখতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন পাপারাৎজ়িরা। তার আগে তিনি বারান্দা থেকে দর্শন দিয়েছেন। রেলিংয়ে রাখা ফুলের গাছের টব সরিয়ে। কিন্তু সেটা তো দূর থেকে। হাতের কাছে নায়ককে পেলে কে ছাড়তে চায়? বরুণও প্রত্যেকের আবদার মেটান। তার পরেই এক কাণ্ড!
বরুণ সকলের কথা মেনে পোজ় দিতেই নানা জনের নানা আবদার। কেউ সামনে থেকে তাঁকে ক্যামেরায় ধরতে চান। কেউ পাশ থেকে। এ ভাবে ছবি তুলতে তুলতেই হঠাৎ তাঁর নজর এক ছবিশিকারির দিকে। তিনি ছবি তুলতে তুলতেই ফোনে ব্যস্ত! ব্যস, সুযোগ পেতেই রসিকতা শুরু। বরুণ প্রথমে বাকিদের কাছে জানতে চান, তাঁদের বন্ধু কার সঙ্গে এত কথা বলছেন? প্রশ্ন শুনে ওঁরাও হেসে ফেলেন। কথার আভাসে বোঝান, সম্ভবত প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। এ-ও যোগ করেন, নতুন প্রেমিকা! তাই এত কথা। শুনেই সেই পাপারাৎজ়ির দিকে এগিয়ে যান তিনি।
ছবিশিকারি তত ক্ষণে বুঝে নিয়েছেন কী হতে চলেছে। তিনি হাসতে হাসতে ফোন নিয়ে সরতে যাবেন, বরুণ সামনে। তিনিও হাসিমুখে পরিচিত ছবিশিকারির হাত থেকে ফোন নিয়ে নেন। ফোনের ও পারে থাকা ছবিশিকারির প্রেমিকার উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘‘ও এখন খুবই ব্যস্ত!’’ প্রেমিকা কিছু বোঝার আগেই যাঁর ফোন তাঁর হাতে দিয়ে হাসতে হাসতে বরুণ !
বিয়ের তিন বছর পর বাবা হলেন বরুণ ধওয়ান। গত সোমবার সন্ধ্যায় কন্যাসন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী নাতাশা দালাল। খবর, সুস্থ আছেন নতুন মা, সদ্যোজাত। ওই দিন সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের প্রথম সারির হাসপাতালে ধওয়ান পরিবার নাতাশাকে নিয়ে যেতেই সেখানে ভিড় জমান পাপারাৎজ়িরা। তখন থেকেই জল্পনা শুরু, ‘ছোটা বরুণ’ আসছে, না দেবী লক্ষ্মী? বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর হাসিমুখে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসেন ডেভিড ধওয়ান। তাঁর সঙ্গে পরিবারের বাকিরাও। তখনই গাড়ি ঘিরে ধরে সদ্যোজাত সম্পর্কে প্রশ্ন করলে পরিচালক-প্রযোজক জানান, কন্যাসন্তান এসেছে তাঁদের পরিবারে। তিনি খুব খুশি।