উরফি জাভেদ। —ফাইল চিত্র।
মুম্বই পুলিশের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন উরফি জাভেদ— এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল মুম্বইয়ের ওশিওয়ারা থানা। উরফি-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মমলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে উরফির সঙ্গে কথা বলছেন দু’জন মহিলা পুলিশ আধিকারিক। এক জন উরফিকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘এত ছোট পোশাক পরে রাস্তায় কে ঘোরে?’’ উরফিকে তাঁদের সঙ্গে থানায় যেতে বলতেও দেখা যায় এক পুলিশ আধিকারিককে। কিছু ক্ষণ বাদানুবাদ চলার পর উরফিকে পুলিশের গাড়িতে তোলেন ওই দুই আধিকারিক। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অভিনেত্রীর খোঁজে মাঠে নামে ওশিওয়ারা থানার পুলিশ। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন, পুরো ভিডিয়োটিই প্রচারে থাকার জন্য উরফি নিজেই বানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত এবং উরফির মস্তিষ্কপ্রসূত। পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিন জনকে ভাড়া করা হয়েছিল। যাঁরা কনস্টেবল সেজেছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। এই তিন জন বিভিন্ন ছবির সেটে অতিরিক্ত অভিনেতা হিসাবে কাজ করেন। যাঁর মাধ্যমে এই অভিনেতাকে ভাড়া করা হয়েছিল সেই প্রোডাকশন ম্যানেজারকেও দু’হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সমাজমাধ্যমে অনুগামী বাড়াতেই এই ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি তৈরি করা হয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়ো যাচাই করেনি। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই নিজের মোবাইল বন্ধ করে দেন উরফি। তার আগে একটি মেসেজে লিখে রেখে যান যে তিনি দুবাইয়ে আছেন।
ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিসিপি কৃষ্ণকান্ত উপাধ্যায় বলেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১, ৪১৯, ৫০০ এবং ৩৪ ধারায় উরফি এবং চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিয়োটিতে যে গাড়িটিকে দেখা যাচ্ছে সেটিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের চরিত্রে যিনি অভিনয় করছিলেন তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। উরফির অনুগামীদের একাংশ তাঁর ‘গ্রেফতারি’ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। যদিও কেউ কেউ এটিকে নিছকই ‘প্র্যাঙ্ক’ বা মশকরা বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে খোলামেলা পোশাক পরে বহু বার বিতর্কের মুখে পড়েছেন উরফি। গত মাসে বান্দ্রা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যম মারফত তা প্রকাশ্যে এসেছিল। তখন উরফি নিজে থেকেই থানায় গিয়েছিলেন।