ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় কমেডি ছবি ‘নটবর নট আউট’-এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় পর এ বার কমেডি ছবি পরিচালনা করলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। ‘একটু সরে বসুন’ নামে এই ছবিতে পরিচালকের তুরুপের তাস ঋত্বিক চক্রবর্তী।
ছবির টিজ়ার প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে কমলেশ্বরের ‘গুড নাইট সিটি’ ছবিতেও মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক। কমলেশ্বরের ছবি, তা-ও আবার কমেডি! প্রস্তাব আসার পর কী মনে হয়েছিল ঋত্বিকের? অভিনেতা হেসে বললেন, ‘‘এটা ঠিক কমলদা যে ধরনের ছবি করেন, তার সঙ্গে এই ছবির কোনও মিল নেই। আমি খুব আবাক হইনি। কারণ দীর্ঘ দিন আগেই কমলদা আমাকে বলেছিলেন যে, বনফুলের একটা ছোট গল্প নিয়ে ওঁর ছবি করার ইচ্ছে রয়েছে। খুবই ভাল অভিজ্ঞতা।’’
এই ছবিতে এক মাথা চুল নিয়ে তৈরি হয়েছে ঋত্বিকের লুক। অন্য রকম দেখতে লাগছে তাঁকে। ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ যখন কেশসজ্জা নিয়ে খুঁতখুঁতে, সেখানে ঋত্বিক কিন্তু দিব্যি নিজের আসল লুকের একের পর এক ছবিতে দর্শকদের চমকে দেন। অভিনেতা হাসতে হাসতে বলছিলেন, ‘‘আমি খুব একটা পাত্তা দিই না। অনেক দিন আগেই ঠিক করেছিলাম যে, দিন এটা আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে সে দিন বিচলিত হব। কিন্তু সেটা কখনও হয়নি, তাই আমিও দিব্যি রয়েছি।’’ গল্পের প্রয়োজনেই এই ছবিতে ঋত্বিককে দর্শক দুটি লুকে দেখবেন।
এই ছবিরে রূপকের আড়ালে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক। বাংলায় যে এখন কমেডি ছবির সংখ্যা কমে গিয়েছে, সে কথা স্বীকার করে নিলেন ঋত্বিক। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সময়ে আমিই তো ‘ক্রস কানেকশন’ এবং ‘বিবাহ ডায়রিজ়’-এর মতো ছবি করেছি। কিন্তু এখন রমকমও তো নেই।’’ সোশ্যাল স্যাটায়ার প্রসঙ্গেই অভিনেতা মনে করেন, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এর পর এ রকম সামাজিক কমেডি ছবির খুব একটা তৈরি হয়নি। একই সঙ্গে ঋত্বিক বিশ্বাস করেন কোনও ফর্মুলায় গা ভাসালে সমস্যা। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের ছবি দর্শক পছন্দ করেন। কিন্তু ওই ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা হলে মুশকিল! এক সময় শুনতাম, বাংলায় নাকি থ্রিলার হয় না। কে যেন ফিরিয়ে আনতে চাইল। এখন থ্রিলারের ভিড়ে ইন্ডাস্ট্রির কী অবস্থা সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি!’’
এই মুহূর্তে ‘কলঙ্ক’ ওয়েব সিরিজ়ের শুটিংয়ে ব্যস্ত ঋত্বিক। সাহানা দত্তের তত্বাবধানে তৈরি হওয়া এই সিরিজ়ে ঋত্বিকের বিপরীতে রয়েছেন রাইমা সেন। এ ছাড়াও পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্যর ‘গাজনের ধুলোবালি’ ছবিটির শুটিংও শুরু করবেন তিনি।