ভাড়াবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এই অভিনেত্রীর। ছবি: সংগৃহীত।
মেয়েকে বার বার ফোন করেও উত্তর পাননি বাবা। পরে জানতে পারেন, তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে একটি ভাড়াবাড়ি থেকে। ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করছিলেন মেয়ে ও তাঁর পুরুষসঙ্গী। শনিবার রাতের এই ঘটনায় মেয়ের ওই সঙ্গীকেই দুষছেন বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ জুন, শনিবার রাতে ভুবনেশ্বরের নয়াপল্লি এলাকায় ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে ২৩ বছরের অভিনেত্রী রশ্মিরেখা ওঝার। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে এই ঘটনা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নয়াপল্লির ভাড়াবাড়িতে একটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রশ্মিরেখার দেহ পাওয়া যায়। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। তাতে লেখা, ‘তোমাকে মিস্ করছি বাবা। ওপর থেকেও তোমাকে মিস্ করব।’ সঙ্গে আরও লেখা, ‘আমি খুব খারাপ মেয়ে!’
এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ভুবনেশ্বর পুলিশ। যদিও পুলিশের এক শীর্ষকর্তার দাবি, ‘‘প্রাথমিক ভাবে একে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।’’
পুলিশের অনুমানে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হলেও মেয়ের পুরুষসঙ্গী সন্তোষ পাত্রকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন অভিনেত্রীর বাবা। তাঁর দাবি, ‘‘শনিবার মেয়েকে বার বার ফোন করলেও তা বেজে গিয়েছিল। পরে সন্তোষ আমাদের মেয়ের মৃত্যুর খবর জানায়। সে সময় ওই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে জানতে পারি যে সন্তোষ এবং রশ্মি স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ওখানে থাকছিলেন। এ নিয়ে আমাদের কোনও ধারণা ছিল না।’’
ওড়িয়া টেলিভিশনের অভিনেত্রী হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে আদতে জগৎসিংহপুরের বাসিন্দা রশ্মিরেখার। ‘কেমিটি কাহিবি কহা’ নামে একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে প্রংশসিত হয়েছিলেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।